তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি, চীনের সতর্কবাণী

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বুধবার নিউ ইয়র্ক পৌঁছালে তার হোটেলের বাইরে অসংখ্য মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানান। ছবি: রয়টার্স
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বুধবার নিউ ইয়র্ক পৌঁছালে তার হোটেলের বাইরে অসংখ্য মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানান। ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তার মধ্য আমেরিকা সফরের যাত্রাপথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছেন। এটি প্রেসিডেন্ট সাই'র পূর্ণাঙ্গ সফর না হলেও এ বিষয়টি নিয়ে চীন আপত্তি ও সতর্কবাণী দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সাই মধ্য আমেরিকার গুয়াতেমালা ও বেলিজ সফরের যাত্রাপথে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিরতি নিয়েছেন। সফর শেষে ফিরতি পথে তিনি মার্কিন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

চীন এ ধরনের কোনও বৈঠকের ধারণায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। চীন সতর্ক করে বলেছে, যদি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে 'গুরুতর সংঘাতের' সৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সাই'র সফর নিয়ে বেইজিংয়ের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিৎ হবে না।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বুধবার নিউ ইয়র্ক পৌঁছালে তার হোটেলের বাইরে অসংখ্য মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানান। অসংখ্য বিক্ষোভকারীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, মধ্য আমেরিকার ২ দেশের সঙ্গে মৈত্রী গঠনের চেষ্টা করবেন সাই। সফর শেষে লস অ্যাঞ্জেলস হয়ে দেশে ফেরার সময় জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনৈতিক নেতা ম্যাকার্থির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার সাই যুক্তরাষ্ট্র এসে পৌঁছালে ওয়াশিংটনে চীনের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের স্বাধীনতার ধারণার পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনেন। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট সাইকে তাদের দেশে 'তোলপাড় সৃষ্টি' করার অনুমতি দিয়েছে।

চীনের চার্জ দ্য এফেয়ারস জু জুয়েইউয়ান ১ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'তাইওয়ানের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রে আসলে বা যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা তাইওয়ান সফরে গেলে চীন-মার্কিন সম্পর্কে (এ ঘটনায়) আরও ১টি গুরুতর, অত্যন্ত গুরুতর সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে'।

জু বলেন, সাইকে সফরের অনুমতি দিয়ে ওয়াশিংটন 'চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার গুরুতর অবমাননা করেছে'। 

'আমরা মার্কিন পক্ষকে অনুরোধ করছি, তারা যেনো তাইওয়ান প্রসঙ্গে আগুন নিয়ে খেলার পুনরাবৃত্তি না করে', যোগ করেন তিনি।

তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করলেও, চীনের মতে এটি একটি 'বিচ্ছিন্ন প্রদেশ', যেটাকে আবারও চীনের মূল ভূখণ্ডের অংশ করে নেওয়া হবে।

এই লক্ষ্য অর্জনে বল প্রয়োগেও পিছপা হবে না বলে জানিয়েছে চীন।

গত বছর ম্যাকার্থির পূর্বসূরি ও তৎকালীন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপে গিয়ে সাই'র সঙ্গে বৈঠক করলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।

পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন প্রায় ১ সপ্তাহ টানা তাইওয়ান প্রণালীতে বড় আকারের সামরিক মহড়া চালায়।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এমন সময় মধ্য আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন যখন দেশটির সাবেক মিত্র হন্ডুরাস গত সপ্তাহে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। যার ফলে তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা কমে ১৩ হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

4h ago