তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৮ এইচ-৬ বোমারু বিমান

চীনের বিমানবাহিনির পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এইচ-৬ উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চীনের বিমানবাহিনির পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এইচ-৬ উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ১৮টি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান পাঠিয়েছে চীন, যেটি এক নতুন রেকর্ড।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে।

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্ত অঞ্চলে (এডিআইজেড) গত সোমবার সকাল থেকে শুরু করে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মোট ২১টি চীনা যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। চীনের উড়োজাহাজের গতিবিধি নজরে রাখতে নিজস্ব জঙ্গি বিমান পাঠানো হয়েছে এবং ভূমি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে।

২০২০ সাল থেকে তাইপে তাদের আকাশ সীমায় চীনা উড়োজাহাজের অনুপ্রবেশের তথ্য প্রকাশ শুরু করে। এবারই প্রথম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এতগুলো চীনা এইচ-৬ বিমান তাইওয়ানের এডিআইজেডে প্রবেশ করেছে।

২ দেশের সম্মতিতে এডিআইজেডের বাস্তবায়ন করা হয়। এটি একটি দেশের নিজস্ব আকাশসীমা থেকে কিছুটা ভিন্ন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এক দেশের উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সে দেশটির আকাশসীমা প্রযোজ্য হয়।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে। তবে এই দ্বীপটি নিজেদের স্বাধীন মনে করে।

এ বছর তাইওয়ানকে ঘিরে অস্থিরতা বেড়েছে। বিশেষ করে, আগস্টে তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক কার্যক্রমের কলেবর বেড়েছে।

বেশ কয়েক দশক ধরে এই এডিআইজেড ২ দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বিভাজন রেখা হিসেবে কাজ করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

15h ago