ডাবল সেঞ্চুরির পথে ব্রয়লার, ডিমের ডজন ১৩০ টাকা

কারওয়ান বাজারে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দোকান। ছবি: স্টার

আবারও বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা। ডিমের (লাল) ডজন বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৫০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিম ১৯০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো. সোবহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কী কারণে দাম বেড়েছে, তা আমার জানা নেই। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।'

তবে খাবারের দাম বাড়ায় মুরগির দাম বাড়তে পারে বলে মনে করেন এই বিক্রেতা।

একই কথা ডিম বিক্রেতা আনোয়ার আলীর। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমাদের বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর কিছু জানি না।'

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেসব পণ্যের দাম সরকার নির্ধারিত, আমরা মূলত সেসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। সরকার মূল্য নির্ধারণের পর যদি এসব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হয়, তখন আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু সবজি, মুরগি, ডিম এসবের কোনো নির্ধারিত দাম নেই। তাই আমরা এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।'

মুরগির খাবারের দাম এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।

'সবকিছুর দাম বাড়লেও মূলত যারা উৎপাদকারী তারা লাভবান হয় না। তাদের কাছ থেকে অনেক কম দামে কেনা হয়। আবার সাধারণ ক্রেতাদের বেশি দামে কিনতে হয়। মাঝখানে কিছু লোক লাভবান হয়। এর জন্য মূলত 
আমাদের বিপণন ব্যবস্থা দায়ী। বিপণন ব্যবস্থা ঠিক থাকলে বাজার এত অস্থির থাকত না। উৎপাদনকারীরাও ভালো দাম পেত এবং সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্যদামে পণ্য কিনতে পারতেন,' বলেন এএইচএম সফিকুজ্জামান।

ডিম ও মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা ও করলা ৪০ টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে আজ প্রতি কেজি আটাশ চাল ৫৬ টাকা (নতুন) ও ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের দাম ৭২ থেকে ৭৬ টাকা ও নাজিরশাইল চালের দাম ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা।

Comments

The Daily Star  | English
China urges US for fair trade talks

China warns countries against striking trade deals with US at its expense

Beijing "will take countermeasures in a resolute and reciprocal manner" if any country sought such deals, a ministry spokesperson said

18m ago