নিপাহ ভাইরাসে শিশুর মৃত্যু: উৎস সন্ধানে ঈশ্বরদীতে আইইডিসিআরের তদন্ত দল

ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপারা গ্রামে নিপাহ ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করছে আইইডিসিআরের তদন্ত দল। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাইরাসের উৎস তদন্ত করতে আইইডিসিআরের একটি তদন্ত দল আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গত সোমবার ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত সোয়াদ হোসেনের (৭) বাড়ি ছিল পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপারা গ্রামের দিঘা স্কুলের পেছনে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা জেসমিন আক্তার রিমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার দুই সন্তান ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু খেজুর গাছ আছে এবং খেজুরের রস সহজেই পাওয়া যায়। এতে তিনি সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আইইডিসিআরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল ইতোমধ্যে এলাকায় কাজ শুরু করেছে।'

তিনি জানান,  তদন্ত দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। আইইডিসিআরের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

আইইডিসিআরের তদন্ত দল ঘটনাস্থলে নিপাহ ভাইরাসের উৎস সন্ধানে কাজ করছে। তবে তদন্ত দলের সদস্যরা এ বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি।

পরিবারের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসমা খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২০ জানুয়ারি শিশুটি খেজুরের রস খাওয়ার পর থেকে অসুস্থ ছিল। অবস্থার অবনতি হলে ২১ জানুয়ারি তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।'

'কিন্তু শিশুটি অচেতন থাকায় দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়,' যোগ করেন তিনি।

এদিকে এ রোগে পাবনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago