‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত ও অতি ডান-বামরা ষড়যন্ত্র করে’

আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত এবং চুরির উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডানরা ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠে বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ করেছেন সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, 'এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডান, যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্র করার জন্য তারা সক্রিয় হয়ে উঠে। আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশে যে স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে এবং দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না।'

'ক্ষমতায় থাকতে মাদক বিএনপির একটি অস্ত্র ছিল। এদেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তোলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের ওপর রাগ আর ক্ষোভ', যোগ করেন তিনি।  

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, 'এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বিএনপি সবসময়ই চেয়েছে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাক। আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক, বিশ্বের বুকে বাঙালির পরিচয় হোক উন্নত সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে।'

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশের সব ইউনিয়ন/উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সামাজিক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য যখন বিএনপি-জামায়তসহ দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তখন সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে সব ইউনিয়নে, উপজেলায়, জেলায় প্রধানমন্ত্রী এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি জারি করা হয়।'

তিনি বলেন, 'কমিটির কার্যক্রমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশাতীত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এই কমিটির মাধ্যমে সমাজের সব মানুষকে একত্রিত করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার মূলোৎপাটন করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

7h ago