সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়মিত মনিটর করা হয়: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ রোববার জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটক, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়।
২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ১ হাজার ৪৩১টি লিংক অপসারণের জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং ১২০টি উদ্ভূত সাইবার হুমকির বিপরীতে অ্যালার্ট প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এটি উত্থাপন করা হয়।
২০১৭–২০২২ পর্যন্ত ৫ অর্থবছরে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা মোট ১২১টি মানিলন্ডারিং (অর্থ পাচার) মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে সরাকরি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা (দুদক, সিআইডি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রার ইন্টেলিজেন্স সেল ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর) অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। গত ৫ অর্থবছরে বিএফআইইউ কর্তৃক গৃহীত ২৪ হাজার ৯৭৭টি সন্দেহজনক লেনদেন/কার্যক্রম প্রতিবেদনের বিভিন্ন নির্দেশক ও পদ্ধতি ব্যবহার করে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় ১ হাজার ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়।'
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বন্ডের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিপরীতে ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।'
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, 'চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেননি।'
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, 'তফসিলি ব্যাংকের মূলঋণ (আসল) মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই। তফসিলভুক্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংক (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি) এবং ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) রয়েছে।
ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ জন গ্রাহকের অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।'
সরকারি দলের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।'
Comments