ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ: মাঠেই রান্না, মাঠেই ঘুম
আগামী শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ।
সমাবেশের ২দিন আগেই মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গণসমাবেশের মাঠে হাজির হতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সেখানে ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী হাজির হন। এসব নেতাকর্মীদের জন্য মাঠে রান্নার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় বিএনপি। একইসঙ্গে তারা সেখানেই রাত কাটাবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের পাশে ১০টি চুলায় খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে।
রান্নার কাজে নিয়োজিত বাবুর্চি মো. আব্দুল আলি (৩৫) জানান, দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমরা ৪২ ড্যাগ খিচুড়ি রান্না করছি। এই খিচুড়ি ১০ হাজার লোক খেতে পারবে।
তিনি আরও জানান, রান্নার কাজে আমরা ৪০ জন নিয়োজিত আছি।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক আজম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট ১০ হাজার নেতাকর্মীদের জন্য রান্না করছি। রাতে যদি আরও নেতাকর্মী আসে তা হলে আরও রান্না করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল সারাদিন রান্না চলবে, আর শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমরা রান্না করব। আমরা মোট ১ লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি।'
রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিশিয়নে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ২টি কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বুধবার রাতে আসা নেতাকর্মীরা। কিছু নেতাকর্মী থাকছেন বিদ্যালয়ের বারান্দাতে। আর বেশির ভাগ নেতাকর্মীর অবস্থান বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে। মাঠে হোগলাপাতার পাটি পেতে অথবা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসা পাটি পেতে শুয়ে একে অন্যের সঙ্গে গল্প করছেন তারা।
মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার থেকে আসা মো. লিয়াকত আলি(৬৪) জানান, আমাদের এই খোলা মাঠে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা সারাদেশের মানুষ এই সরকারের আমলে যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি তার কাছে এই রাত কাটানো কিছু না। সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই মাঠে থাকব।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার লোক এসেছে এই সমাবেশে যোগ দিতে।'
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সাঈদ হাসান সিহাব (২৫) জানান, তার সঙ্গে ৫০ জনের একটি দল এসেছে এই সমাবেশে যোগ দিতে। সমাবেশ পর্যন্ত আসতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। রাতের খাবার হিসেবে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।
Comments