ফরিদপুর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে গণসমাবেশের অনুমতি পেলো বিএনপি

কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠ পরিদর্শন করছেন কেন্দ্রীয় ও ফরিদপুর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু প্রশাসন বিএনপির এ প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। প্রশাসনের প্রস্তাবিত স্থান ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠ।

এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে আজ সোমবার ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের মাঠটি পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

তবে এর মাধ্যমে প্রশাসন আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ ফরিদপুর জেলা বিএনপির।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণসমাবেশের জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর অম্বিকা ময়দান, জনতা ব্যাংকের মোড় ও ফরিদপুর জিলা স্কুলের মাঠের যে কোনো একটি স্থান চেয়ে আবেদন করা হয়। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে লিখিতভাবে এ আবেদন করেন। 

পরে ১৬ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ওই আবেদনের সঙ্গে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠের প্রস্তাব করা হয়।

গত রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমাবেশের মাঠ হিসেবে রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ দেওয়ার আবেদন জানায়। 

তবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দুজনই এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ ধরনের সমাবেশ হলে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা ব্যাহত হবে, শহরে যানজট সৃষ্টি হবে এবং দলীয় ও ভিন্নদলের রাজনীতির বিভেদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

পরে গণসমাবেশের জন্য কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠের মৌখিক অনুমতি দেয় প্রশাসন।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ওরফে ইছা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশের অন্য যে সব জায়গায় গণসমাবেশ হয়েছে, সেসব জায়গায় বিএনপি যে মাঠ চেয়েছে প্রশাসন সেই মাঠে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ফরিদপুরে এর ব্যতিক্রম হলো।'

'প্রশাসন আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'মাঠ বরাদ্দ না দেওয়ার পেছনে অনেক যুক্তি থাকতে পারে। যেহেতু বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার মানে না, সেহেতু মাঠ বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য তাদের অজুহাতের শেষ নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রশাসন যে মাঠটি বরাদ্দ দিয়েছে সেটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। আমাদের ধারণা ১০ নভেম্বর থেকেই জনতার চাপে ওই মহাসড়ক আটকে যাবে। তখন সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে যান চলাচলের সমস্যা হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও তারা আমাদের ওই মাঠটি বরাদ্দ দিয়েছে।'

বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় মতবিনিময় সভা করেছে। এছাড়া প্রতিদিন জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির ফরিদপুর অঞ্চলের দুই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও মো. সেলিমুজ্জামান ফরিদপুরে অবস্থান করে গত প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে কাজ করছেন।

এ কার্যক্রমের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর।

সমাবেশ সফল করতে গঠিত হয়েছে ৬টি প্রস্তুতি কমিটি। কমিটিগুলো হচ্ছে ব্যবস্থাপনা কমিটি, অভ্যর্থনা কমিটি, আপ্যায়ন কমিটি, প্রচারণা কমিটি, সাংবাদিক সমন্বয় কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Govt warns of tough action against protesting NBR officials

The strike crippled activities at customs and ports, affecting exports, imports, and businesses.

54m ago