বোয়ালমারী

রেল কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে স্বাস্থ্য সহকারীসহ ৬ জনের নামে মামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রেলের সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার সময় রাজবাড়ী রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

১৭ অক্টোবরের এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী রেলওয়ে ১৫ নম্বর কাচারী (ভূ-সম্পত্তি বিভাগের) মো. বাবু আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।

মামলায় স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন বোয়ালমারী পৌরসভার শিবপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. ইয়াছিন, বিপ্লব মীর, মামুনুর রশিদ, সুজন শেখ, তুষার।

স্থানীয়রা জানান, বোয়ালমারী রেলস্টেশন থেকে শিবপুর রেলগেট পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে দিয়ে রেলের কয়েক একর সম্পতি দখল করে ঘর তুলে অনেকে ব্যবসা করছেন। কেউ ভাড়া দিয়েছেন। তবে অনেকে লিজ নিয়েছেন। যারা অবৈধ দখলদার আছেন বা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লিজ চুক্তি নবায়ন করেননি, তাদের উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ রেলের জায়গা উদ্ধার করার খবর পাওয়ার পর ১৬ অক্টোবর জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন।

রেল কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুটি বুলডেজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। স্টেশন ও শিবপুর রেলগেট এলাকায় ৮-১০টি দোকান উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের লোকজনের ওপর চড়াও হয় স্থানীয় লোকজন। এ সময় কানুনগো জিয়াউল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়বলে জানা যায়। তখন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে রেলেওয়ের লোকজন ফিরে যায়।

মামলা বিষয়ে স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমান বলেন, 'রেলের উচ্ছেদের অভিযান যখন চলছিল তখন আমি আলফাডাঙ্গায় ইপিআইয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অথচ হামলার ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এটি উদ্দেশ্যমূলক।'

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, 'রেল কর্তৃপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Are battery-run rickshaws Dhaka’s newest traffic menace? Hear what city dwellers think!

Dhaka's battery-run rickshaws spark debate over efficiency versus safety. Critics cite accidents, recklessness, and safety concerns, while supporters highlight cost-effectiveness. A High Court ban fuels tensions, affecting livelihoods and intensifying calls for regulation over elimination.

2h ago