গণপরিবহন বন্ধ, হেঁটে বাড়ি ফিরছেন ইজতেমায় অংশ নেওয়া মানুষ
মৌলভীবাজারে ৫ দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। এতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের যান চলাচল।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হলে মৌলভীবাজার জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে সিলেটে দুদিন ব্যাপী চলা আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের ইজতেমা শেষে ফিরতে পারছেন না মুসল্লিরা। তাই পায়ে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। অনেকে নিজস্ব যানবাহন কিংবা রিজার্ভ করা গাড়িতেও ফিরছেন। একইভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লিরাও।
ইজতেমায় অংশ নেওয়া আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এসেছি ইবাদত-বন্দেগি করতে। কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে আসি নাই। এখন বাড়ি ফিরেছি হেঁটে হেঁটে। কিছুই করার নেই।'
আব্দুল কাদির নামে একজন বলেন, 'আমরা ভোগান্তিতে পড়ে গেছি। কিছু পথ হেঁটে গিয়ে দেখি গাড়ি পাওয়া যায় কি না। সড়কেও প্রচণ্ড যানজট।'
জানা গেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন ও সামনে গ্রিল লাগানো বন্ধ, ব্যাটারিচালিত টমটমের অবৈধভাবে চলাচল বন্ধ, ট্রাক-লরি-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং মৌলভীবাজার জেলায় একটি স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এদিকে, ধর্মঘট ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, শনিবার বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির মহাসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। ৫ দফা দাবিতে বিশেষ করে টমটম চলাচল বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো অবাধে চলছে। এতে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যে কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক নিরাপদ করতে যৌক্তিক দাবিতে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।'
Comments