সেপ্টেম্বরে চা উৎপাদনের নতুন রেকর্ড

দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা অতীতের যে কোনো মাসের উৎপাদন রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে।
বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে ৬৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। স্টার ফাইল ছবি।

দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা অতীতের যে কোনো মাসের উৎপাদন রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার চা বোর্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুকূল আবহাওয়া, ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের প্রচেষ্টার ফলে গত আগস্টের শ্রমিক কর্মবিরতির পরও নতুন এই রেকর্ড হয়েছে।

এর আগে মাসভিত্তিক উৎপাদনের সর্বশেষ রেকর্ড হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় ১৪ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়।

গত ৯-২৭ আগস্ট দেশের চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কর্মবিরতি ও ধর্মঘট পালন করেন। ২৭ আগস্ট চা-বাগান মালিকদের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এরপর কাজে ফেরেন শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর আগস্ট মাসে শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে উৎপাদন কিছুদিন বন্ধ থাকলেও, সরকারের দিকনির্দেশনায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয় এবং বাগানের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু হয়।'

'এ ছাড়া, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, চা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা, নিয়মিত বাগান মনিটরিং, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতকরণের ফলে এ বছর চায়ের উৎপাদন অনেক ভালো', বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বাগান মালিক, চা ব্যবসায়ী ও চা শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে চা শিল্পের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।'

উল্লেখ্য, বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশের ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে ৬৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

8h ago