যত্নে থাকুক বই
কম-বেশি তোমরা অনেকেই বই পড়তে পছন্দ করো। কিন্তু, যত্নের অভাবে অনেক সময় প্রিয় বইটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই সঠিকভাবে বইয়ের যত্ন নিতে হবে। তোমরা কীভাবে বইয়ের কীভাবে যত্ন নিবে তা নিয়ে কয়েকটি টিপস থাকছে আজকের লেখায়।
সঠিকভাবে সংরক্ষণ
বই সবসময় একই মাপ এবং দৈর্ঘ্যে (যেমন পেপারব্যাক উপন্যাস) সোজাভাবে রাখতে হবে। কিন্তু বড় আকারের বই (যেমন হার্ডকাভার উপন্যাস) সোজাভাবে রাখার চেয়ে সমতলভাবে রাখা ভাল। তাহলে বড় বইগুলো সহজে নষ্ট হবে না।
আর্দ্রতা এড়িয়ে চলতে হবে
বইয়ের সবচেয়ে ক্ষতি করে আর্দ্রতা। আর্দ্রতার কারণে বইগুলো নরম হয়ে যায় এবং সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে। এছাড়া আর্দ্রতার কারণে বইয়ের পাতা থেকে উটকো গন্ধ বের হতে পারে। এজন্য ঘরের মধ্যে যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে সেখানে বই রাখবে। আর বইয়ের তাক ঢেকে রাখবে না। তাহলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হবে।
সরাসরি সূর্যালোক নয়
তোমরা অবশ্যই খেয়াল রাখবে বইয়ে যেন সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে। কারণ সূর্যের আলোতে ইউভি রশ্মি থাকে। এ কারণে তোমার বইয়ের পৃষ্ঠা হলুদ হয়ে যেতে পারে, এমনকি বইয়ের প্রচ্ছদও বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। এ থেকে রক্ষার ভালো উপায় হলো- তোমাদের বইয়ের তাকটি জানালা থেকে দূরে রাখা। এছাড়া সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বই নিরাপদ রাখতে জানালায় পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত পরিষ্কার করা
দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকার কারণে বইয়ে ধূলিকণা, ময়লা জমতে পারে। তাই মাঝে মাঝে নরম কাপড় বা ডাস্টিং ব্রাশ দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
নোংরা হাতে বই পড়বে না
তোমরা অনেকেই বই পড়ার সময় হয়তো চিপস, কুকিজ, চা-কফি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করো। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এটি কোনো ভালো অভ্যাস নয়। এ কারণে খুব সহজে বইয়ের পৃষ্ঠায় দাগ পড়তে পারে। তবে, তুমি যদি তখন কিছু খেতে চাও তাহলে অন্তত বইটি বন্ধ করে তারপর খাও। খাওয়া শেষে আবার পড়া শুরু করো। তবে, পড়া শুরুর আগে অবশ্যই অবশ্যই হাত পরিষ্কার করার কথা ভুলে যাবে না।
বুকমার্ক ব্যবহার করবে
অনেক সময় এক বসাতেই বই শেষ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বইয়ের পাতা কুকুরের কানের মতো করে ভাঁজ করবে না। এর পরিবর্তে একটি বুকমার্ক ব্যবহার করবে। তুমি চাইলেই কাগজ দিয়ে বাড়িতে বুকমার্ক বানাতে পারবে।
Comments