৯৫ কোম্পানিকে ৪ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
সরবরাহ বাড়িয়ে চালের দাম কমাতে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১১ আগস্টের মধ্যে চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে জেলা খাদ্য অফিসে জানাতে হবে যে তারা কী পরিমাণ চাল আমদানি করবে, কী পরিমাণ বিক্রি করবে ও কী পরিমাণ মজুত করবে।
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২২ জুন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আমদানি করা চালের ওপর শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করেছে। তবে, প্রতিটি চালান আমদানির সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
যে ব্যাগে করে চাল আমদানি করা হবে, সেই একই ব্যাগে করে ব্যবসায়ীদেরকে চাল বিক্রি করতে হবে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টন আমদানির অনুমতি পেয়েছে। এ ছাড়া, দুইটি প্রতিষ্ঠান ২৫ হাজার টন করে, তিনটি ২০ হাজার টন করে এবং বাকিগুলো বিভিন্ন পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চাল আমদানির অনুমোদন পেতে ১১১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। 'আরও যারা আবেদন করেছে, আমরা তাদের অনুমোদনের বিষয়টি যাচাই করে দেখব। গত বছর যদি তাদের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তখন তারা বিধিনিষেধগুলো অনুসরণ করেছিল কি না, তাও আমরা পর্যালোচনা করব', বলেন তিনি।
গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে চিকন চাল বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬৪ থেকে ৮০ টাকায়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চালের দাম ৯ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, মোটা চালের দাম গত মাসে অপরিবর্তিত ছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই ফসলি মৌসুমে (আউশ ও আমন) কৃষকরা ১ দশমিক ৭৯ কোটি টন ধান পেয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর বোরো মৌসুম থেকে মোট ফলন হবে ২ কোটি ৯০ লাখ টন চাল।
রাইস মিল মালিকদের মতে, দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমের কিছু অংশে বন্যা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব ধানের ফলনে পড়েছে।
Comments