স্থল হামলা শুরুর আগে গাজার বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার আহ্বান ইসরায়েলের
গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক মানুষদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
আজ শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সকালে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিককে দক্ষিণে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। শহরটিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন।
গাজা উপত্যকার কাছে ট্যাংক জড়ো করেছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির ইসরায়েলের স্থলবাহিনী অভিযান শুরু করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, 'এখন যুদ্ধের সময়।'
গত শনিবার হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে 'উল্লেখযোগ্য' অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে তারা।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, 'গাজার বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে জানানো হচ্ছে, আপনারা নিজেদের ও নিজ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণাঞ্চলে সরে যান। হামাসের যোদ্ধারা আপনাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আপনারা তাদের থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখুন।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'হামাসের যোদ্ধারা গাজা শহরের বাড়িঘরের নিচে অবস্থিত সুড়ঙ্গপথ ও এমন সব ভবনে লুকিয়ে আছেন, যেখানে গাজার নিরীহ ও বেসামরিক মানুষ আছেন।'
হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, গাজা থেকে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা একটি 'মিথ্যা অপপ্রচার'। তিনি জনগণকে এই ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ বলেছে, এ ধরনের উদ্যোগ 'ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়' সৃষ্টি করতে পারে। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া 'অসম্ভব' বলেও দাবি সংস্থাটির।
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তাকে 'লজ্জাজনক' বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।
ইতোমধ্যে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতভর হামলা চালিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে ৭৫০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে আছে হামাসের সুড়ঙ্গ, সামরিক কম্পাউন্ড, হামাসের শীর্ষ নেতাদের বাড়ি ও অস্ত্র মজুদের গুদাম।
তবে স্থলপথে হামলা চালালে জিম্মি হয়ে থাকা ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
Comments