৩ ধাপে যুদ্ধ চালিয়ে হামাস নির্মূল করা হবে: ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস নির্মূল করার পর 'গাজা উপত্যকায় মানুষের জীবন' নিয়ন্ত্রণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের।
গাজা উপত্যকার কিবুতজ বেরির সীমানার বাইরে ট্যাঙ্ক নিয়ে অবস্থান করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাসের সঙ্গে তিন ধাপে যুদ্ধ চালাবে ইসরায়েল।

তিনি আরও বলেন, হামাস নির্মূল করার পর 'গাজা উপত্যকায় মানুষের জীবন' নিয়ন্ত্রণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের।

আজ শুক্রবার ইসরায়েলের একটি পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গাজা উপত্যকার বিষয়ে এই প্রথম ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গেল বলে বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলার পর পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে একপর্যায়ে গাজায় স্থল হামলার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।

গতকাল রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট বলেন, গাজার সীমানায় অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনারা 'শিগগির ভেতরে যাবে।'

আজ তিনি বলেন, 'হামাসের বিরুদ্ধে তিন ধাপে যুদ্ধ চলবে। প্রথমে গাজায় বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান চালানো হবে। এ পর্যায়ে অবকাঠামো ধ্বংস করে হামাসকে নির্মূল করা হবে।'

পরের ধাপে হামলার তীব্রতা কমে আসবে এবং এ পর্যায়ে 'প্রতিরোধের জায়গাগুলো' ধ্বংস করা হবে বলে জানান তিনি।

যুদ্ধের শেষ ধাপে গাজা উপত্যকায় 'একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা' তৈরি করা হবে বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেছেন, 'একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরির পর গাজার বিষয়ে ইসরায়েল আর কোনো দায়িত্ব নেবে না এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা তৈরি করা হবে।'

গাজার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি বেশিরভাগই সাধারণত ইসরায়েল সরবরাহ করে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের পর গাজা অবরুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে সেখানে খাদ্য-পানি-জ্বালানি প্রবেশ আটকে দেয় ইসরায়েল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi expatriates in Lebanon urged to stay safe amid escalating conflict

Bangladesh Embassy in Lebanon has requested Bangladeshi expatriates living in that country to stay safe amid an ongoing war situation there

2h ago