‘গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, সেখানে হামাসের কেউ উপস্থিত ছিলেন না’
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন দশম মাসে পা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েল হামলা চালালে অন্তত ১৬ জন নিহত হন। ইতোমধ্যে হামাস জানিয়েছে, সেখানে তাদের কোনো যোদ্ধা ছিলেন না।
আজ রোববার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আল-জাউনি স্কুলের হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের 'জঙ্গিরা'। এই দাবি নাকচ করে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
হামাস বলেছে, 'ভূমি-অধিগ্রহণকারীদের (ইসরায়েলের) সেনাবাহিনী দাবি করেছে ইউএনআরডব্লিউএ'র আল-জাউনি স্কুলে স্বাধীনতাকামী সংগঠনের (হামাসের) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, যা মিথ্যে ও বিভ্রান্তিমূলক।'
'ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল কর। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে যেয়ে তারা যেসব অপরাধ করছে, সেগুলোকে সবার সামনে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য তারা এসব মিথ্যে অভিযোগ আনছে', বিবৃতিতে আরও বলা হয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি তথ্য অধিদপ্তর শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে আল-জাউনি স্কুলে হামলার বিস্তারিত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘ পরিচালিত এই স্কুলটি গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসবে ব্যবহার হচ্ছিল।
গাজার সরকারি তথ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল–জাউনি বিদ্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।
এই হামলার পর গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-আকসা হাসপাতালের ওপর চাপ বেড়েছে। নিহতদের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও চিকিৎসা উপকরণ খুবই কম থাকায় আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।
এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৯ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৮ হাজার ০৯৮। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ হাজার ৭০৫। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Comments