গাবতলী-কচুক্ষেত হাটে বড় গরুর বিক্রি কম

এবার গরুর হাটে বড় গরুর চাহিদা কম। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার
এবার গরুর হাটে বড় গরুর চাহিদা কম। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী ও কচুক্ষেত পশুর হাটে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা। অপেক্ষাকৃত ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বিক্রি প্রায় শেষ।

তবে বড় আকারের গরুগুলো এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারেননি খামারি ও ব্যাপারীরা।

সরেজমিনে জানা গেছে, গাবতলী হাটের ৮-১০ লাখ টাকা দামের গরুগুলো খুব বেশি বিক্রি হয়নি। ওই হাটের একমাত্র উটটিও অবিক্রীত থেকে গেছে। 

যশোরের বেনাপোল থেকে আগত গরু ব্যবসায়ী আবদুল হাই বেপারির সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদকের।

তিনি জানান, ৩ দিন আগে ৩৫টি গরু নিয়ে গাবতলী এসেছেন।

গরুগুলোর মধ্যে ৪টির জন্য তিনি ১০ লাখের বেশি দাম প্রত্যাশা করছেন।

তবে একটি বড় গরুও আজ শুক্রবার রাত ৯টার মধ্যে বিক্রি করতে পারেননি।

'ভালো দাম না পেলে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হব', যোগ করেন তিনি।

এ বছর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরে পড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই দামি গরু কেনা থেকে বিরত থাকছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

এবার গরুর হাটে বড় গরুর চাহিদা কম। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার
এবার গরুর হাটে বড় গরুর চাহিদা কম। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এই গরুগুলো ১৩ লাখ বা তারচেয়েও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ১৮টি মাঝারি আকারের গরু ৩-৪ লাখ টাকা দামে বিক্রি করেছেন তিনি। ৫-৬ লাখ টাকা দামে বিকিয়েছে আরও ৩টি বিক্রি হয়েছে। 

ইউসুফ বেপারি নামে অপর ব্যবসায়ী জানান, তিনি ২১টি গরু এনেছিলেন, যার মধ্যে ১৫টি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বড় গরুর সংখ্যা মাত্র ৩।

গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, এবার বড় গরুর চাহিদা কম।

তিনি ৬টি বড় গরু এনেছেন, যেগুলোর পেছনে তার খরচই হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু ক্রেতারা আশানরূপ দাম বলছিলেন না। সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা বলেছেন কয়েকজন সম্ভাব্য ক্রেতা। 

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ২টি গরু লাভে বিক্রি করতে পেরেছেন আর আরেকটি গরু লোকসানে বিক্রি করেছেন। আশা করছেন আজ রাতের মধ্যে বাকি ৩ গরু লাভে বিক্রি করতে পারবেন।

কচুক্ষেত হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট গরুর চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশি।

অনেকেই জানান, টানা ২ বছর লোকসান দিয়ে বিক্রির পর এবারের হাটে তারা আবারও লাভের মুখ দেখেছেন।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে আগত মুন্না মিয়ার আনা ১৬ গরুর মধ্যে ১৩টি বিক্রি হয়েছে।

এই গরুগুলো তিনি আজ বিকেলের মধ্যেই বিক্রি করেছেন। প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার করে লাভ করেছেন।

সব মিলিয়ে এবার পৌনে ২ লাখ টাকা লাভ করেছেন। গত ২ বছরই গড়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লোকসান দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মুন্না।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে আগত সোহেল ১৬টি গরু কচুক্ষেত হাটে তুলেছেন। তার মধ্যে গতকাল রাতেই ১২টি গরু তিনি ১ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারের মধ্যে বিক্রি করেন। ছোট গরুগুলোতে ১০ ও মাঝারিগুলোতে ২০ হাজার টাকা লাভ করেন তিনি। 

 'গতকাল রাতে অনেক ক্রেতা এসেছিলেন। এক রাতেই ১২টা গরু বিক্রি করেছি'।

তবে বিকেলের পর গরুর দাম খানিকটা কমতে শুরু করেছে। তা সত্ত্বেও সোহেল আশা করছেন, বাকি গরুগুলোই লাভেই বিক্রি করতে পারবেন।

হেমায়েতপুরের মোজাম্মেল হক ১৭টি গরু বিক্রি করেছেন। এগুলোর দাম ছিল ১ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

প্রতিটি গরুতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে লাভ করেছেন মোজাম্মেল।

Comments

The Daily Star  | English

Nahid calls for preparations for another mass uprising if ‘old game’ doesn’t end

He made these remarks during a street rally at Chashara intersection, Narayangaj

1h ago