অনুমোদন ছাড়া রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় পশুর হাট না বসানোর অনুরোধ

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়া রেললাইন সংলগ্ন স্থান বা রেলওয়ের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে পশুর হাট না বসাতে অনুরোধ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি ও রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হতে পারে, এমন জেলার জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি আধা সরকারি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি ও রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অনেক সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অস্থায়ীভাবে পশুর হাট বসানো হয়। এতে সাধারণ জনগণ ও রেল চলাচলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে এবং রেললাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণে ঈদযাত্রার রেলের শিডিউল বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার সরকারি সম্পদ রক্ষা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই রেললাইন সংলগ্ন বা রেলওয়ের মালিকানাধীন জায়গায় অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
তবে, যদি কোনো স্থানে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় পশুর হাট বসানো অত্যাবশ্যক হয়, তাহলে নিচের শর্তগুলো অবশ্যই মানতে হবে—
(ক) রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ব্যতীত রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় হাট বসানো যাবে না।
(খ) হাট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ইজারাদারকে অবশ্যই রেললাইনের দিক ঘেঁষে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বজায় রেখে বাঁশ বা উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে শক্ত ঘেরা বেষ্টনী (ফেন্সিং) নির্মাণ করতে হবে।
(গ) ঘেরা বেষ্টনী এমনভাবে বসাতে হবে, যেন ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং হাটে আগত সাধারণ মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
(ঘ) জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি ও রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হতে পারে এমন জেলাগুলো হল—মৌলভীবাজার, বগুড়া, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
Comments