‘ওয়াসাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন তাকসিম’
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওয়াসা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে গোলাম মোস্তফা আরও অভিযোগ করেছেন, বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় ওয়াসা পরিচালনা করছেন তাকসিম।
তাকসিমের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগের কথা উল্লেখ করে এসব বিষয়ে সচিবের কাছ থেকে নির্দেশনা চেয়েছেন ওয়াসা চেয়ারম্যান।
ওয়াসা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিভি টকশোতে 'ওয়াসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন' করার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিন আগে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় ওয়াসা কর্মচারীদের ৩টি সংগঠন।
গতকাল দেওয়া লিখিত চিঠিতে ওয়াসা চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, ওয়াসা আইন-১৯৯৬ অনুযায়ী প্রতি ২ মাস অন্তর বোর্ড সভা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এমডি প্রায়ই এ বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোস্তফা টকশোতে উপস্থিত হওয়ায় বিদেশে অবস্থানরত তাকসিম তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে কর্মচারীদের বাধ্য করার চেষ্টা করেন। এ কাজ করাতে ব্যর্থ হয়ে ওয়াসা কর্মচারীদের সংগঠনের মাধ্যমে মোস্তফার বিরুদ্ধে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাকসিম।
মোস্তফা চিঠিতে লিখেছেন, 'তার (তাকসিম) অনিয়ম ও দুঃশাসনের তালিকা এত দীর্ঘ যে তা এখানে লেখা সম্ভব নয়।'
'তাকসিম নিজের ইচ্ছেমতো ওয়াসা চালান এবং ঢাকা ওয়াসার অভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই খারাপ।'
'যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের তিনি বরখাস্ত করেছেন। অতীতে এরকম শত শত ঘটনা ঘটেছে। তাই চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। একটি সরকারি সংস্থা এভাবে চলতে পারে না।'
এতে আরও বলা হয়, বোর্ড ও বোর্ডের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে ওয়াসা এমডি তাকসিম এ খানকে ফোন করলে তিনি কেটে দেন। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে তিনি জবাব দেন, 'দুঃখিত, এই মুহূর্তে আমি কথা বলতে পাবরব না।'
Comments