ঢাকা ওয়াসা: এক দশকের ব্যর্থতা, অদক্ষতার ইতিহাস
সবার জন্যে নিরাপদ পানি এখনও সুদূর পরাহত। শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও জলাবদ্ধতা নিরসন করা যায়নি।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে ‘লিভিং উইথ ডার্টি, স্টিঙ্কি ওয়াসা ওয়াটার’ (ওয়াসার ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানির সঙ্গে বসবাস) শিরোনামে এক প্রতিবেদেনে ঢাকাবাসীর অগণিত সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল।
তারপর, একে একে ১৩টি বছর কেটে গেছে। এ সময়ে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধীনে নেওয়া হয়েছে অনেক প্রকল্প, ব্যয় করা হয়েছে শত শত কোটি টাকা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই পদে রয়েছেন ১১ বছর থেকে।
এখনো ঢাকার অনেক অধিবাসী ওয়াসার ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানির সঙ্গে বসবাস করছেন। সুপেয় পানির সংকট, অপ্রতুল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আর সেই পুরনো জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েই গেছে।
গত রোববার ঢাকা ওয়াসার কল সেন্টারে কর্মরত এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, তারা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, ইংলিশ রোড ও যাত্রাবাড়ির রহমতপুর এলাকা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন
‘শনিবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড রোডের সুভাষ বোস অ্যাভিনিউ ও নবাবপুর রোডে লিকেজের অভিযোগ পেয়েছি,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সূত্রাপুরের হেমন্ত দাশ রোড, দক্ষিণ কুতুব খালি ও নাখালপাড়া থেকে পানি না পাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি।’
পানির সমস্যায় ভুগছে এমন এলাকার তালিকা বেশ দীর্ঘ। পূর্ব জুরাইন, পশ্চিম জুরাইন, উত্তর জুরাইন, দনিয়া, শ্যামপুর ও মুরাদপুর, ধুপখোলা ও শনিরআখড়ার কিছু অংশ এবং শ্যাওড়াপাড়ার কয়েকটি বাসা থেকে ডেইলি স্টারকে বলেছেন, তারা সাপ্লাই লাইন থেকে নোংরা পানি পাচ্ছেন।
জুরাইন মিষ্টির দোকান এলাকার অধিবাসী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পূর্ব জুরাইনের প্রায় দুই লাখ বাসিন্দা একই ধরনের পানির সমস্যায় ভুগছেন। কেউ আবার পানিই পাচ্ছেন না।’
গত বছরের ২৩ এপ্রিল জুরাইন, শ্যামপুর, মধ্য বাড্ডা, রামপুরা ও তেজগাঁওয়ের আরও কয়েক শ অধিবাসী মিজানুর রহমানের মতো কারওয়ান বাজারে ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
‘দুর্ভাগ্যবশত তারপরও কোনো পরিবর্তন হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন মিজানুর রহমান।
পশ্চিম কাফরুলের অধিবাসী মোহাম্মদ কাঞ্চন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সারা বছর আমাদের এখানে পানি থেকে দুর্গন্ধ আসে। বৃষ্টি হলে আসে ময়লা পানি।’
সতীশ সরকার রোডের অধিবাসী সাখাওয়াত হোসেনও একই দুদর্শার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি খারাপ। কোরবানি ঈদের সময় তা আরও খারাপ হতে পারে। গত বছরের মতো কোরবানির পশুর রক্ত মেশানো পানি এবারও পাই কিনা তাই ভয়ে আছি।’
গত বছরের ১৭ এপ্রিল টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহক পানি ফুটিয়ে পানযোগ্য করে খান। এর ফলে বছরে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস পোড়ানো হয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৪৫ শতাংশ গ্রাহক চাহিদা মতো পানি পান না এবং ৩৫ শতাংশ গ্রাহকের অভিযোগ তারা সারা বছর নিম্নমানের পানি পান।
অথচ ওয়াসার এমডির বক্তব্য ছিল, ‘ওয়াসার পানি সম্পূর্ণ সুপেয়’।
সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Dhaka Wasa’s Legacy: A decade of failure, inefficiency লিংকে ক্লিক করুন
Comments