আত্মসমর্পণ করে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন এএসপি সোহেল

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) সাবেরা সুলতানা খানম জামিনের আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন এএসপি সোহেল
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সোহেল উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন প্রিন্সকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

আইনজীবীর মাধ্যমে এই মামলায় জামিন চেয়ে প্রিন্স আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) সাবেরা সুলতানা খানম এ আদেশ দেন।

শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন, তার মক্কেল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্ট তাদের মক্কেলকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার মক্কেল আদালতে হাজির হয়ে মামলায় জামিন চান।

রাষ্ট্রপক্ষ অবশ্য এর বিরোধিতা করে বলেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ওই বছরের ২৫ জুলাই একই ট্রাইব্যুনাল মামলায় আনা অভিযোগ গ্রহণ করে যুবরাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এএসপির সঙ্গে সম্পর্কে থাকা ওই নারী ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে যান এবং সেখানে আসামি তাকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নারী। 

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে পাঠান।

এর আগে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে প্রিন্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

17h ago