শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলের আবেদন করবে ডিএমপি

ডিএমপি

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আব্বাস আলী ওরফে 'কিলার আব্বাস' ও সুব্রত বাইনের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এই অপরাধীরা দীর্ঘ বছর কারাগারে কাটানোর পরও নিজেদের সংশোধন করেনি। মুক্তি পাওয়ার পর তারা এমনভাবে চাঁদাবাজি ও গ্যাং কার্যক্রম শুরু করেছে যেন কিছুই বদলায়নি।'

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শীর্ষ আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আমরা শীর্ষ অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করছি এবং তাদের জামিন বাতিল করার জন্য আমরা লিখব। 

'আমরা জানতে পেরেছি, "বেনজীরের ক্যাশিয়ার" হিসেবে পরিচিত জসিমসহ মুক্তি পাওয়া সুব্রত বাইন, পিচ্চি হেলাল, ইমনের মতো অন্যরা নানা অপরাধে জড়িত। তারা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রমাণ রেকর্ড করছি, মামলা করছি এবং সম্ভব হলে তাদের গ্রেপ্তার করব। আপাতত আমরা তাদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করছি', বলেন তিনি।

নজরুল এসব অপরাধীদের নিয়ে প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরেন এবং তাদের অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তালিকাভুক্ত অন্তত কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে জামিন দেওয়া হয়। তাদের বেশিরভাগই দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন।

এর মধ্যে ইমন ১৫ আগস্ট ও হেলাল ১৬ আগস্ট মুক্তি পান।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

8h ago