কেজরিওয়ালের জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার কেজরিওয়ালের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে জামিন স্থগিত করেছে দিল্লির হাইকোর্ট।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ কেজরিওয়ালকে জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক। সে অনুযায়ী আজ তিহার কারাগার থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

জামিনের নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে ভারতের ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কর্তৃপক্ষ। এই আবেদনের ভিত্তিতে কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লির হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীর জামিন স্থগিত থাকবে।

এ লাখ রুপির ব্যক্তিগত মুচলেকার বিনিময়ে শর্তাধীনে কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল তিনি চলমান তদন্তে কোনো বাধা দেবেন না বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করবেন না।

কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ইডির হাতে নেই। কিছু অভিযুক্ত, যারা পরে রাজসাক্ষী হয়েছে, তাদের বয়ানের ভিত্তিতে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কেজরিওয়ালের আইনজীবী বলেন, 'যারা নিজেদের দোষী বলে স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কেউ সাধু নয়। তারা নিজেরাও অভিযুক্ত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তাদের জামিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তাদের ক্ষমা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে।'

তিনি বলেছেন, 'দক্ষিণ ভারতের গোষ্ঠী থেকে একশ কোটি টাকা এসেছিল, তারও কোনো প্রমাণ ইডি দিতে পারেনি।'

গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইডির অভিযোগ ছিল, কেজরিওয়াল মদ বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলেন এবং সেই অর্থ দিয়ে তিনি গোয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।

কেজরিওয়াল এবং তার দল আম আদমি পার্টি (এএপি) প্রথম থেকেই বলছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে দুই সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল। তারপর ২ জুন তাকে আবার তিহার জেলে ফিরে যেতে হয়। সে সময় কেজরিওয়াল অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন বাড়ানোর আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে।

ইডি'র পক্ষ থেকে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, তারা জামিনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে চায়। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই জামিন দেয়ার প্রক্রিয়া যেন শুরু না করা হয়। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

8h ago