কিস্তি না পেয়ে দোকানিকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ঋণের কিস্তি না পেয়ে ঋণগ্রহীতা দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকোনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নাটোর সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আফজাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'নাটোর শহরতলীর করোটা এলাকার মুদি দোকানি আব্দুস সাত্তার রোকোনুজ্জামানের কাছ থেকে সুদের ওপর ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঋণের কিস্তি হিসাবে প্রতিদিন ১৪০ টাকা হারে ৯২ কিস্তিতে মোট ১২ হাজার  ৮০০ টাকা পরিশোধ করেছে আব্দুস সাত্তার।'

তিনি আরও বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকেলে রোকোনুজ্জামানের পক্ষে সাত্তারের কাছে কিস্তি নিতে যান শিমুল। কিন্তু, সাত্তার সন্ধ্যার পর কিস্তি দেবেন বলে জানান। কিন্তু শিমুল তখনই টাকা দিতে চাপ দেন সাত্তারকে। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শিমুল ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।'

'পরে রোকোনুজ্জামানের বাবাকে ডেকে কিস্তি পরিশোধ করে সাত্তার এবং রোকনুজ্জামান যেন কোনো ঝামেলায় না জড়ান সেই অনুরোধ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু, রাত ৯টার দিকে দলবল নিয়ে রোকোনুজ্জামান করোটা বাজারে সাত্তারের দোকানে গিয়ে বাবার কাছে জানানোয় শাসাতে থাকে। একপর্যায়ে রোকোনুজ্জামানের দোকানি আব্দুস সাত্তারকে মারধর ও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তারের মাথায় জখম হয়,' বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে সাত্তারের ছোটভাই মিঠু সরকার বলেন, 'আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করায় জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে সাত্তারের ছেলে সাব্বির বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যায় নাটোর সদর উপজেলার মীরপাড়া এলাকা থেকে রোকোনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।'

জানতে চাইলে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর জায়গা হবে না।'