রবির মাধুরীলতা

মাধুরীলতা

এক রাত শেষের প্রহরে সদ্য কিশোরী মৃণালিনী দেবীর কোলজুড়ে এল ফুটফুটে কন্যা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম সন্তানের নাম রাখলেন মাধুরীলতা। ডাক নাম বেলা। মাধুরীলতার যখন জন্ম হয় তখন মৃণালিনী দেবীর বয়স মাত্র ১৩ বছর। দিনটি ১৮৮৬ সালের ২৫ অক্টোবর।

রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত গল্প কাবুলীওয়ালার 'মিনি' চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ এঁকেছিলেন মাধুরীলতাকে মনে রেখেই। 'ছিন্নপত্রাবলী'র একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন 'বেলার মনটি ভারী দয়ালু। খোকা (রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর) সেদিন একটি পিঁপড়ে মারতে যাচ্ছিল দেখে বেলা নিষেধ করার কত চেষ্টা করল, দেখে আমার ভারী আশ্চর্যবোধ হলো, আমার ছেলেবেলায় ঠিক এ রকম ভাব ছিল, কীট-পতঙ্গকে কষ্ট দেওয়া আমি সহ্য করতে পারতুম না।'

জাহাজে চেপে দূরদেশে যাওয়ার সময় রবীন্দ্রনাথ মাধুরীলতাকে স্বপ্নে দেখতে পেয়ে স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন, 'কাল রাত্তিরে বেলাটাকে স্বপ্নে দেখেছিলুম- সে যেন স্টিমারে এসেচে- তাকে এমনি চমৎকার ভাল দেখাচ্চে সে আর কি বলব…।'

মাধুরীলতার জন্মের কথা স্মরণ করতে গিয়ে ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'বেলা যেন মোমের পুতুলটির মতো হয়েছিল। তাকে দেখতে প্রথম দিন যখন বাড়ির ভিতরে গেলুম তখন স্থির করলুম তার দৈনন্দিন জীবনী আমি রোজ লিখব। কিন্তু কয়েকদিনের বেশি সে সঙ্কল্প স্থায়ী হয়নি।'

রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনী দেবী; মৃণালিনী দেবীর কোলে মাধুরীলতা।

সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকলেও প্রথম সন্তান মাধুরীলতার প্রতি রবীন্দ্রনাথের ছিল অসীম আগ্রহ। জন্মের পরে শিশু মাধুরীলতার স্নান করানো থেকে, রাতে দুধ গরম করে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো সবকিছুতেই রবীন্দ্রনাথ ছিলেন নিত্যসঙ্গী।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সন্তানদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য ঠাকুরবাড়িতে একটি স্কুল খুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে স্কুলে রাখা হয়েছিলো দুজন শিক্ষক ও একজন হেডমাস্টার। স্কুলে তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৫ জন। সেখানে পড়তে যেত মাধুরীলতাও।

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, 'ঘরোয়া ইস্কুলে আমাদের ভাইবোনেদের হাতে-খড়ি হয়েছিল মাত্র। রসময়বাবু দুপুরবেলা জেগে থাকতে পারতেন না। আমাদের মধ্যে দিদির দুষ্টুবুদ্ধি ছিল বেশি– কখন নিঃশব্দে পালিয়ে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে মাছ ভাজা, বেগুনি প্রভৃতি উপাদেয় খাবার নিয়ে এসে আমাদের মধ্যে বিতরণ করে আবার চুপচাপ নিজের জায়গায় বসে পড়ত।' তবে জোড়াসাঁকোতে তেমন একটা পড়ার সুযোগ পাননি মাধুরীলতা।

কারণ জমিদারির কারণে রবীন্দ্রনাথকে সুদূর শিলাইদহে চলে যেতে হয়েছিল। ১৮৯৮ সালে ১২ বছর বয়সী মাধুরীলতাসহ পাঁচ সন্তানকে নিয়ে জোড়াসাঁকো থেকে পাকাপাকিভাবে শিলাইদহে চলে যান মৃণালিনী। সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য শিলাইদহে গৃহ বিদ্যালয় খুললেন রবীন্দ্রনাথ। অন্যদিকে মৃণালিনী সন্তানদের শেখাতেন গৃহকন্যার কাজ। রথীন্দ্রনাথ তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন 'নির্জনতার মধ্যে দিদি আর আমি বাবা ও মা-কে আরও কাছাকাছি পেলুম। বাবা তখন আমাদের দুজনকে লেখাপড়া শেখাবার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিলেন।'

কিন্তু শিলাইদহের কুঠিবাড়ির সঙ্গহীন জনপদ আর স্বজনদের অভাবে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন মৃণালিনী। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের মাথায় তখন মেয়েদের বাড়ন্ত ভাবনা। যে করেই হোক বিয়ে দিতে হবে তাদের। বন্ধু প্রিয়নাথ সেনের উদ্যোগে ও রবীন্দ্রনাথের ভীষণ আগ্রহে কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর তৃতীয় পুত্র শরৎকুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে মাধুরীলতার বিয়ের সিদ্ধান্ত হলো। মৃণালিনী দেবীর অবশ্য প্রথমে খানিকটা অবাক হলেও বিয়েতে আপত্তি করেননি। কিন্তু বেলার বিয়ের পণ নিয়ে পাত্রপক্ষের দর কষাকষিতে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন মৃণালিনী। পাত্রপক্ষ প্রথমে পণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করলে প্রিয়নাথ সেনকে চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'বেলার যৌতুক সম্বন্ধে কিছু বলা শক্ত। মোটের ওপর ১০ হাজার পর্যন্ত আমি চেষ্টা করতে পারি। সেও সম্ভবত কতক নগদ এবং কতক বাকি। সাধারণত বাবা মহাশয় বিবাহের পরদিন চার/পাঁচ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে আশীর্বাদ করে থাকেন– সেজন্য কাউকে কিছু বলতে হয় না। ২০ হাজার টাকার প্রস্তাব তাঁর কাছে উত্থাপন করতেই পারব না।'

ভাই রথীন্দ্রনাথ, বোন মীরা ও রানুকার সঙ্গে মাধুরীলতা।

শেষ পর্যন্ত দরকষাকষিতে ১০ হাজার পাঁচ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের দিন ধার্য হলো। তবে তাতেও ছিল পাত্রপক্ষের শর্ত। বিয়ের অন্তত তিনদিন আগে সব টাকা পরিশোধ করতে হবে।

সব শর্ত মানার পর ১৯০১ সালের ১১ জুন বিয়ের আগে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নিলেন শরৎকুমার চক্রবর্তী। মাধুরীলতা ও শরৎকুমারকে আশীর্বাদ করলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। বিয়ের সময় মাধুরীলতার বয়স ১৫ আর শরৎকুমারের বয়স ৩০ বছর। মজার বিষয় হলো বিয়ের পরদিন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ শরৎকুমারকে আশীর্বাদ হিসেবে যে টাকা আর মোহর দিয়েছিলেন তা বিয়ের আগে বরপক্ষের দাবি করা পণের চেয়েও বেশি।

কিন্তু শেষমেশ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে পাত্রপক্ষের পণের বিষয়টি লুকিয়ে রাখতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তিনি নিজেই বিয়ের পরে মহর্ষিকে সব কিছু খুলে বলেছিলেন। যা শুনে ভীষণ অপমানিত বোধ করেছিলেন মহর্ষি। বিস্মিত কণ্ঠে তিনি বলেছিলেন, 'বরকন্যাকে আশীর্বাদস্বরূপই সবাই যৌতুক চাইছে, ওদের এতই অবিশ্বাস!'

এতকিছুর পরও সেই বিয়েতে কম ঝক্কি যায়নি রবীন্দ্রনাথ ও মাধুরীলতার ওপর দিয়ে। একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছিল ঠিক অন্যদিকে আত্মীয়দের মাঝ থেকে নানান লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা শুনতে হয়েছিল তাদের। কারণ পারিবারিক বা সামাজিক কোনোভাবেই মাধুরীলতার উপযুক্ত ছিলেন না শরৎকুমার। সমাজবিরুদ্ধ বিয়ে বলেও আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ।

বিয়ের পরে মুজাফফরপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতেন শরৎকুমার। মাধুরীলতাকে নিয়ে সেখানে পৌঁছানোর পর রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে মৃণালিনী দেবীকে লিখেছিলেন, 'বেলা বোধ হচ্ছে এখন বেশ স্থির হয়ে নিজের ঘরকন্নাটি জুড়ে নিয়ে বসেছে। যেখানে ওর বসবার ঘর স্থির হয়েছে সে ওর পছন্দ হয়েচে। সন্ধ্যাবেলায় শরতে ওতে মিলে কুমারসম্ভব পড়া হবে এই রকম একটা কল্পনাও চলচে।'

মাধুরীলতাকে ভীষণ ভালবাসতেন শরৎকুমার। রবীন্দ্রনাথের ভাষ্যেও তারই প্রমাণ মেলে। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে আরও লিখেছেন, 'যাই হোক শরতের সম্বন্ধে তুমি নিশ্চিন্ত থেকো - এমন সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য জামাই তুমি হাজার খুঁজলেও পেতে না। তা ছাড়া সংসারে ও প্রতিপত্তি লাভ করবে সেও নিশ্চয়। এখন বেলা যদি নিজেকে আপনার স্বামীর যোগ্য স্ত্রী করে তুলতে পারে তাহলেই আমি চরিতার্থ হতে পারি।' এরপরের বছরই মাকে হারায় মাধুরীলতা। মুজাফফরপুর আদালতে তেমন পসার করতে না পারায় শরৎকুমারকে কলকাতায় চলে আসতে হয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথ নিজ উদ্যোগে শরৎকুমারকে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে পাঠালেন। সঙ্গে প্রতিমাসে ১৫০ টাকা খরচও দিতেন। শরৎকুমার বিলেত যাওয়ার পর শান্তিনিকেতনে ছোটদের শ্রেণিতে মাস্টারি করেছিলেন মাধুরীলতা। এসময়েই গল্প লেখার হাতেখড়ি হয় মাধুরীলতার। রবীন্দ্রনাথের মেয়েদের মধ্যে একমাত্র মাধুরীলতাই সৃজনশীল বিষয়ে অগ্রগামী ছিলেন।

শরৎকুমার বিলেত থেকে আসার পর তাদের জোড়াসাঁকোতেই থাকার ব্যবস্থা হলো। এদিকে সেখানে আগে থেকেই থাকতেন রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠকন্যা মীরা দেবী ও তার স্বামী নরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের ব্যবহারে ভীষণ ক্ষুণ্ণ হলেন শরৎ, মাধুরীলতা উভয়ই। রীতিমতো ঝগড়াও হলো দুপক্ষের মধ্যে। রবীন্দ্রনাথ তখন দেশের বাইরে। দেশে ফিরে শুনেও তিনি এই বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে শান্তিনিকেতন চলে যান। জোড়াসাঁকোতে চার বছর ছিলেন শরৎকুমার ও মাধুরীলতা। একপর্যায়ে দুই বোনের মধ্যে মনমালিন্য তীব্র আকার ধারণ করলে মাধুরীলতাকে নিয়ে জোড়াসাঁকোর বাড়ি ছাড়েন শরৎকুমার। প্রথমে ভাড়া বাড়িতে এবং পরে শ্রীরামপুরের পৈত্রিক বাড়িতে উঠলেন শরৎকুমার। ততদিনে কলকাতায় শরৎকুমারের আইন ব্যবসাও দারুণ জমে উঠেছিল।

বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উপর প্রচণ্ড অভিমান ছিল মাধুরীলতার। মাধুরীলতা মনে করতেন দুই বোনের বিরোধে রবীন্দ্রনাথ কনিষ্ঠ কন্যা মীরা দেবীর পক্ষাবলম্বন করেন। একই সঙ্গে শরৎকুমারের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। চিঠি দিয়ে, লোক পাঠিয়েও সেই সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। রবীন্দ্রনাথ বিদেশে সফরের সময়েও মাধুরীলতা এবং শরৎকে বহুবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন কিন্তু কোনো চিঠির জবাব পাননি তিনি। লন্ডন থেকে জামাতার কাছে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'কিছুদিন থেকে অনুভব করতে পারছি যে তোমরা কোনও কারণে আমার উপর রাগ করেছ এবং এই ব্যাপারে মনের মধ্যে খুব কষ্টও বোধ করেছি। এর ভিতরকার কারণটা কি তা আমি ভেবে স্থির করতে পারিনি, কেননা আমি ইচ্ছে করে তোমাদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করি নি।...যদি তোমরা মনে করো থাকো যে, তোমাদের প্রতি আমার আন্তরিক স্নেহের অভাব আছে তাহলে তোমরা ভুল বুঝেছ-এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারি নে।'

কেবল তাই নয় ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে সব পরিচিতজন ছাড়াও অজস্র অপরিচিতজনও অভিনন্দিত করতে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। যাননি কেবল মাধুরীলতা ও শরৎকুমার।

১৯১৭ সালে ৩০ বছর বয়সে মাধুরীলতার ক্ষয়রোগ ধরা পড়ে। রবীন্দ্রনাথ নিয়মিতই মেয়েকে দেখতে যেতেন। এমনকি চিকিৎসার সব খরচ বহন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ১৯১৮ সালের ১৭ মে চিরবিদায় নেন মাধুরীলতা। রবীন্দ্রনাথ মাধুরীলতার মৃত্যুতে যে কষ্ট পেয়েছেন তা অবর্ণনীয়।

মাধুরীলতার রোগশয্যা এবং মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে অনেকখানি ভেঙে দিয়েছিল। মাধুরীলতার মৃত্যুর পর প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'ওর ক্ষমতা ছিল কিন্তু লিখত না।' অকালপ্রয়াত কন্যা মাধুরীলতার স্মরণে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ 'মাধুরীলতা' বৃত্তি চালু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের 'পলাতকা' কাব্যগ্রন্থের বহু কবিতা রবীন্দ্রনাথ মাধুরীলতাকে উৎসর্গ করে লিখেছিলেন। এমনকি মাধুরীলতা যখন অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শয্যাশায়ী তখনো শয্যার একপাশে বসে কবিতা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ।

তেমনই একটি বিখ্যাত কবিতা

'যারা আমার সাঁঝসকালের গানের দীপে জ্বালিয়ে দিলে আলো

আপন হিয়ার পরশ দিয়ে; এই জীবনের সকল সাদা কালো'

যাদের আলোক-ছায়ার লীলা; মনের মানুষ বাইরে বেড়ায় যারা

তাদের প্রাণের ঝরনা-স্রোতে আমার পরান হয়ে হাজার ধারা….'

রবীন্দ্রনাথের ওপর অভিমান করলেও স্বামী শরৎকুমারের সঙ্গে ১৭ বছরের সংসার জীবনে কখনোই মনোমালিন্য হয়নি মাধুরীলতার। নিঃসন্তান হলেও দাম্পত্যজীবনে মাধুরীলতা ছিলেন ভীষণ সুখী। ১৯১৮ সালে বেলা যখন মারা যান তখন শরতের বয়স ৪৮ বছর। সে সময় স্ত্রী বিয়োগের পর স্বামীর আবার বিয়ে না করা ছিল ভীষণ বিস্ময়ের ব্যাপার। কিন্তু বাকি জীবনে আর বিয়ে করেননি শরৎ।

সূত্র - ছিন্নপত্র/ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পিতৃস্মৃতি/ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীজীবনী (পঞ্চম ও ষষ্ঠ খণ্ড)/ প্রশান্তকুমার পাল

রবীন্দ্রজীবনী দ্বিতীয় খণ্ড/ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

ahmadistiak1952@gmail.com

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh foreign policy

Assad’s ouster and the ever-changing world for Bangladesh

Do we have the expertise to tackle the crises and exploit the opportunities in the evolving geopolitical scenario?

12h ago