‘দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হলে সে দেশের বইগুলোকে নিতে হবে’

‘সিএমজির নতুন উদ্যোগ: চীন-বিষয়ক বই প্রকাশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। ছবি: স্টার/ ইমরান মাহফুজ

'দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হলে সে দেশের বইগুলোকে নিতে হবে সবার আগে, সে দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষদের জীবন ও কীর্তি নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই দেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে যথাযথ বার্তা।'

চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে 'সিএমজির নতুন উদ্যোগ: চীন-বিষয়ক বই প্রকাশ' শীর্ষক এক আলোচনায় কথাগুলো বলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

তিনি আরও বলেন, অনুবাদ করতে হলে যে ভাষা থেকে অনুবাদ করা হবে সেই ভাষা ভালোভাবে জানতে হবে। এবং সেই ভাষার একজন সৃজনশীল মানুষ হতে হবে অনুবাদককে, তা না হলে অনুবাদ পড়ার মতো হবে না। এইভাবে ধীরে ধীরে বিনিময় হবে সাহিত্য ও সংস্কৃতি। তবে দুদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি বিনিময়ের কাজটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত এই সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইউ লি ওয়েন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। চীনের বেইজিং থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ গুয়াং আনন্দি এবং সাংবাদিক আলিমুল হক।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে চীন-সম্পর্কিত বই প্রকাশে বাধা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন লেখক শাকুর মজিদ, অনুবাদক মশিউল আলম, কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী, মনসুর আজিজ, ইমরুল কায়েস, ইমরান মাহফুজ, কথাসাহিত্যিক সেলিম সোলায়মান, দীলতাজ রহমান, জহিরুল ইসলাম, প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন, মেজবা উদ্দিন আহমেদ, হাসান তারেক প্রমুখ। 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা তার বক্তৃতায় দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য ঢাকায় চায়না কালচারাল সেন্টার স্থাপনের দাবি জানান। চীনে কী পরিমাণ বাংলাদেশি বইয়ের অনুবাদ হয়েছে এবং বাংলাদেশে কী পরিমাণ চীনের বইয়ের অনুবাদ হয়েছে তার একটি হিসাব নিয়ে আরও বই দুই ভাষায় অনুবাদের অনুরোধ জানান তিনি। অনুরোধ করেন, দুই দেশের তরুণদের সম্পৃক্ত করে একটি মাসিক সাহিত্য কাগজ প্রকাশেরও।

ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইউ লি ওয়েন বলেন, বক্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী শিগগিরই তারা দুদেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে কাজ শুরু করবেন। আলোচনার মাঝে চীন সম্পর্কে নির্বাচিত বাংলা বই উপহার হিসেবে অতিথিদের তুলে দেন সিএমজিতে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদ হাশিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএমজি বাংলা বিভাগের সাংবাদিক ও কবি শান্তা মারিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

In Sarishabari, para sandesh sweetens Eid celebrations

Behind each piece of this delicate dessert lies hard work and precision

2h ago