বইয়ের কথা বলতে ক্লান্তি আসে না, আনন্দ পাই: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উপল কেন্দ্রের সভ্য সংঘ আয়োজন করে 'আলোর পথযাত্রা' শিরোনামে বিশেষ অনুষ্ঠান। ছবি: মেসবাহ সুমন

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রের সভ্য সংঘ আয়োজন করে 'আলোর পথযাত্রা' শিরোনামে বিশেষ অনুষ্ঠান। কেন্দ্রের প্রাক্তন সভ্যরা (শিক্ষার্থী) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সম্পর্কে ভাবনা-স্মৃতি, আলোচনা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন।

গতকাল রোববার বিকেলে ৫টায় কেন্দ্রের মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। 

অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনাম বলেন, 'এই সমাজে বই পড়ানো কঠিন কাজ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের বয়স হিসেবে, শ্রেণি বিবেচনা করে পাঠক্রম সাজানো অনেক চ্যালেঞ্জ। এই অসাধ্য সাধন করেছেন একজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তার প্রতি আমাদের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। স্যারের নিরলস পরিশ্রম আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'তবে এই কথা স্বীকার করতেই হবে একটি দেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো উদ্যোগের তুলনা হয় না। এর মধ্যে কেন্দ্র আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আত্মপরিচয় নির্মাণ করে "বাঙালির চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ"র অনন্য উদ্যোগ নেয়। আমি ও আমাদের প্রতিষ্ঠান এমন ভালো ভালো কাজের সংবাদ ছড়িয়ে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি প্রায় শুরু থেকে আছি, আর কেন্দ্রের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত।'

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, 'মানুষ হয়ে জন্মেছি এটা এই জীবনের সৌভাগ্য। এর মাঝে সমাজের জন্য কাজ করতে পারাও অত্যন্ত গৌরবের। ৪৫ বছর ধরে আমরা আনন্দের সঙ্গে গৌরবের কাজটি করে চলেছি। অর্থাৎ, মানুষকে বই পড়ার কথা বলে যাচ্ছি। মাত্র ১০ সভ্যকে নিয়ে আমাদের "পাঠচক্র" শুরু করেছিলাম। এখন দেড় কোটি মানুষকে এতে যুক্ত করতে পেরেছি। আশা করি তা দুই কোটি হবে। আগামী বছরে এই মাইলফলকটি অর্জিত হবে।'

'বই নিয়ে চলতে বইয়ের কথা বলতে আমার ক্লান্তি আসে না, আনন্দ পাই। এক জীবনে বলে এসেছি আরও বলে যাব। মানুষের ভালোবাসা আমার চলার প্রেরণা,' যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কথা বলেন, প্রাক্তন সভ্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল আহম্মেদ। ফেরদৌস বাপ্পির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিল কেন্দ্রের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

ঢাকা কলেজের তৎকালীন শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছোট পরিসরে শুরু করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম। বর্তমানে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজস্ব ভবন থেকে কেন্দ্রটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago