ঈদে আমিরাতে কমেছে স্বর্ণের দাম

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গ্রামপ্রতি স্বর্ণের দাম কমেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এর আগে দুবাইতে এক গ্রাম স্বর্ণের দাম ৩৭৮ দিরহাম ছিল। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৩৬৯ দশমিক ২৫ দিরহাম।
গতকাল শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি গ্রামে চার দিরহাম করে সাশ্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার বিকেল থেকেই স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করে আমিরাতে।
গালফ টাইমসকে এক খুচরো অলঙ্কার ব্যবসায়ী বলেন, 'সবার মনে একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল—সপ্তাহান্তে বৈশ্বিক বাজার বন্ধ হওয়ার আগেই দাম ৩৬৭ বা ৩৬৮ দিরহামে নেমে আসবে কি না।'
'অতটা না কমলেও আমি মনে করছি ৩৬৯ দশমিক ৭৫ দিরহাম দামও ঈদে ক্রেতাদের স্বস্তি দেবে', যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মনে করি আরব আমিরাতের স্বর্ণ-অলঙ্কারের বাজার ও দোকানগুলোতে আজ ও আগামীকাল দুর্দান্ত ব্যবসা হবে। স্বর্ণের দাম ৩৭০ দিরহাম বা তারচেয়েও বেশি হলে এতটা বিক্রি হতো না।'
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগের কয়েক সপ্তাহে দুবাইর স্বর্ণের দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় একেবারেই ছিল না। ৩৭০ দিরহামের ওপরে দাম থাকাই এর মূল কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে মূল্যছাড়ের অপেক্ষায় ছিলেন।
তবে অনেকেই বলেন, ভবিষ্যতেও স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩৭০ দিরহামের ওপরে থাকলে বিক্রি কম থাকবে।
গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও স্বর্ণের দোকানগুলো ব্যস্ত থাকবে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ও অলঙ্কার বিক্রেতারা। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিক্রি বাড়তে শুরু করে।

ব্যস্ত শপিং মল ও হাইপারমার্কেটের দোকানগুলোতেও সপ্তাহান্তে ক্রেতার ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
মুদ্রার বিনিময় হার জানার ওয়েবসাইট এক্সচেঞ্জ রেট ডট কম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবার বাংলাদেশি মুদ্রায় এক দিরহামের দর ৩১ দশমিক ৮২ টাকা।
এই বিনিময় হার বিচারে দুবাইতে এক ভরি স্বর্ণের দাম (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৬ টাকা।
অর্থাৎ প্রতি ভরিতে দুবাইর তুলনায় বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় ২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি।
Comments