দুবাই চেম্বারে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

দুবাই চেম্বার, দুবাই, আরব আমিরাত, হুন্ডি, বাংলাদেশ ব্যাংক,
দুবাইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা থেকে দেখা শহরের একাংশ। রয়টার্স ফাইল ফটো

চলতি বছরের প্রথমার্ধে দুবাই চেম্বার অব কমার্সে নতুন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৭ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৪ হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে চেম্বার জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী- দুবাই চেম্বারে সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭৫টি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই চেম্বার এমন সময়ে নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয়তার তালিকা প্রকাশ করেছে যখন বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স মিসইনভয়েসিং টাকা পাচার ও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে রেখে দেওয়ার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইদানীং দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুবাইয়ের ব্যবসার কথা প্রায়ই আলোচিত হয়।

সরকারিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ পাঠাতে পারে না। এখন পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক দেশি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছে।

গত জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১৭ প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত বিনিয়োগ প্রায় ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার।

তবে দুবাই চেম্বার বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ প্রকাশ করেনি।

দুবাই চেম্বার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ৩০ হাজার ১৪৬ নতুন প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়েছে। তালিকার শীর্ষে আছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান।

গত জুনের শেষ পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ২২ দশমিক তিন শতাংশ ছিল ভারতীয়।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় হাজার ৭১৭টি নতুন ভারতীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান দুবাই চেম্বারের সদস্যপদের জন্য চুক্তি সই করেছে। আগের বছরের একই সময়ের চার হাজার ৮৪৫ প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এই সংখ্যা ৩৯ শতাংশ বেশি।

পাকিস্তান থেকে তিন হাজার ৩৯৫টি নতুন প্রতিষ্ঠান দুবাই চেম্বারে যোগ দিয়েছে। এর সংখ্যা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। দুবাই চেম্বারে নিবন্ধিত মোট পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৩১৫টি।

এ ছাড়াও মিশর, যুক্তরাজ্য ও চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো দুবাই চেম্বারের নতুন সদস্যদের তালিকায় শীর্ষে আছে।

জর্ডান ও লেবাননের প্রতিষ্ঠানগুলোও শীর্ষ নতুন সদস্যের মধ্যে আছে উল্লেখ করে দুবাই চেম্বার জানায়, ৪২ দশমিক চার শতাংশ নতুন প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য ও মেরামত খাতে নিযুক্ত আছে। ৩০ দশমিক আট শতাংশ আছে আবাসন, ভাড়া ও ব্যবসায়িক পরিষেবা খাতে।

নির্মাণ শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো সাত দশমিক দুই শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে। পরিবহন, স্টোরেজ ও টেলিযোগাযোগ খাত আছে চতুর্থ অবস্থানে। বছরের প্রথমার্ধে চেম্বারে যোগ দেওয়া নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এগুলোর অবদান ছয় দশমিক তিন শতাংশ।

দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ গণমাধ্যমকে জানান, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে নতুন চেম্বার সদস্যদের সংখ্যা ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, 'চেম্বারে যোগ দেওয়া নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিন্ন ভিন্ন জাতীয়তা দুবাইয়ের ব্যবসায়িক পরিবেশের গতিশীলতার পাশাপাশি আমিরাতের বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষমতা প্রকাশ করে।'

দুবাই চেম্বার বলেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে নতুন সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় জাপানের প্রতিষ্ঠানও আছে। পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ এই দেশটির প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৫৩ শতাংশ বেড়ে ৬০-এ পৌঁছেছে।

দুবাইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা থেকে দেখা শহরের একাংশ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

Comments

The Daily Star  | English

Postgrad doctors block Shahbagh demanding stipend hike

The blockade resulted in halt of traffic movement, causing huge suffering to commuters

1h ago