গাজায় আহতের চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে জাপান
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানিয়েছেন, গাজার অসুস্থ ও আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে তার দেশ। একইসঙ্গে গাজার শিক্ষার্থীদের জাপানে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথাও ভাবছে।
আজ বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
গতকাল সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে ইশিবা বলেন, তার প্রশাসন 'গাজার অসুস্থ ও আহত ব্যক্তিদের জাপানে এনে চিকিৎসা দেওয়ার নীতি নিয়ে কাজ করছে'। পাশাপাশি গাজার বাসিন্দাদের জন্য জাপানে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে সিরিয়ার শরণার্থীদের শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে জাপান। গাজার ক্ষেত্রেও এরকম প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে কি না, পার্লামেন্ট অধিবেশনে ইশিবাকে এই প্রশ্ন করেন একজন সদস্য।
জবাবে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গাজার জন্য একটি অনুরূপ প্রোগ্রাম চালু করার কথা ভাবছি। সরকার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে।'
শরণার্থী গ্রহণে রক্ষণশীলতার জন্য জাপান দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছে। ২০২৩ সালে জাপানে আশ্রয়ের জন্য ১৩ হাজার ৮২৩ জন আবেদন করেন, যাদের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৩১০ জনকে গ্রহণ করে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
একটি ভিন্ন কাঠামোর অধীনে, গত বছরের শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা থেকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃত সিরিয়ার ৮২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করেছে টোকিও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে পুনরায় চালু হওয়া রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৩০ জন ক্যানসার আক্রান্ত শিশুসহ ৫০ জন ফিলিস্তিনি রোগী মিশরে প্রবেশ করেছেন।
১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় সব হাসপাতাল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপত্যকাটিতে ছয় হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজার এক হাসপাতালের পরিচালক।
তিনি আরও জানান, সেখানে ১২ হাজারেরও বেশি গুরুতর রোগী চিকিৎসাহীন অবস্থায় আছেন।
Comments