পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪, অস্ত্র জব্দের নির্দেশ

কুররাম জেলায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে পাকিস্তানের শিয়া মুসলিমরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কুররাম জেলায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে পাকিস্তানের শিয়া মুসলিমরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সংঘর্ষ-বিরতির একাধিক উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় শিয়া-সুন্নি সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। টানা ১১ দিনের এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ হয়েছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ।

চলমান পরিস্থিতির উন্নয়নে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংঘাতে জড়িতদের কাছ থেকে সব ধরনের অস্ত্র জব্দ ও সশস্ত্র অবস্থানগুলো নির্মূল করার অভিযান চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।

নিকটবর্তী কোহাত জেলায় স্থানীয় শিয়া-সুন্নি গোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সালিশে (জিরগা নামে পরিচিত) তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

১১ দিনের সংঘর্ষে ১২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১৭৮ জন।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ১০৭।

এ সপ্তাহের শুরুতে ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চালু হলেও, বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর। ফাইল ছবি: এএফপি
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর। ফাইল ছবি: এএফপি

গত ২১ নভেম্বর দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলায় ৫২ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর শিয়া-সুন্নিদের বেশ কয়েকটি গোত্রের মধ্যে সহিংসতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

মূল মহাসড়ক বন্ধ থাকায় স্থানীয় পরিবহন সঙ্কটের পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

আজ রোববার জিরগায় অংশগ্রহণকারীদের গান্দাপুর নিশ্চয়তা দেন, প্রাদেশিক সরকার যেকোনো উপায়ে এ অঞ্চলে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

কুররাম জেলে থেকে সহিংসতার জেরে যারা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্য 'শিগগির' উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সবচেয়ে জরুরি বিষয়।'

তিনি আরও বলেন, সংঘাতে লিপ্ত গোষ্ঠীদের কাছ থেকে সব বৈধ-অবৈধ অস্ত্র শিগগির জব্দ করা হবে।

কোহাত জেলায় জিরগায় অংশ নেন স্থানীয় নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
কোহাত জেলায় জিরগায় অংশ নেন স্থানীয় নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

'শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এসব অস্ত্র প্রশাসনের হেফাজতে থাকবে', যোগ করেন তিনি।

যারা সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান গান্দাপুর।

তিনি উপস্থিত নেতাদের শিগগির নতুন করে কার্যকরী সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা দিতে এবং আগের সব শান্তি চুক্তির প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানান।

'নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago