পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টানা ৬ দিন শিয়া-সুন্নি সংঘাত, নিহত ৩৭

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে শিয়া-সুন্নি সংঘাত। ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে/ফাতিমা নাজিশ
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে শিয়া-সুন্নি সংঘাত। ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে/ফাতিমা নাজিশ

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টানা ছয় দিন ধরে চলছে শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মুসলিমদের মধ্যে সংঘাত। এই সংঘাতে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৭।

আজ শুক্রবার এক স্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

কোহাত বিভাগের কুররাম জেলার শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এক কালে এ অঞ্চলটি অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত ছিল। গত কয়েক বছরে এ ধরনের সংঘাতে এই এলাকার হাজারো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

জুলাই মাসে জমি-জমা সংক্রান্ত বিবাদে এই দুই সম্প্রদায়ের সংঘাতে ৩৫ জন নিহত হন। স্থানীয় নেতাদের শালিসের (জিরগা নামে পরিচিত) সিদ্ধান্তে সংঘাতে বিরতি দেওয়া হয়।

কর্মকর্তারা আবারও নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘাত থামানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

জেলার অন্তত ১০টি এলাকায় ভারী অস্ত্রের ব্যবহারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে বলে জানা গেছে।

কুররামের এক স্থানীয় কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপিকে বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার প্রচেষ্টা চালানো সত্ত্বেও ওই ১০ এলাকায় সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'জমি নিয়ে বিবাদ থেকে সূত্রপাত হলেও এখন এটি দুই গোত্রের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার সংঘাতে রূপ নিয়েছে। এতে অটোম্যাটিক ও সেমি-অটোম্যাটিক অস্ত্রের পাশাপাশি মর্টারের গোলাও ব্যবহার করা হচ্ছে।'

তিনি জানান, ৩৭ জন নিহত ও আরও ১৫৩ জন আহত হয়েছে।

প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের অপর এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, 'সংঘাতে ২৮টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।'

গোত্র ও পরিবারের মাঝে এ ধরনের সংঘাত পাকিস্তানে নতুন নয়।

তবে খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের সংঘাত বেশি দেখা দেয়।

ঐতিহাসিকভাবে সুন্নিপ্রধান পাকিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতন, সহিংসতা ও বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

58m ago