তবে গত দুদিন ধরে ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া এ রকম থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শীত নিবারণের প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতে না পেরে দুর্ভোগে আছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ।
‘তাপমাত্রার এই ধারা আরও কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা
উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে
দেশের আকাশ প্রায় মেঘমুক্ত। এর ফলে হিমালয়ের দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস সহজেই উত্তরাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’ এ পরিণত হয়েছে।
‘ঢাকার তাপমাত্রা দুপুর ৩টার পরে বেশি থাকে। জলাধার ও পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় স্থানীয় তাপ প্রশমিত হয় না। যে কারণে সন্ধ্যা ৬টা বা কখনো কখনো সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গরমের অস্বস্তি বেড়ে যায়।’
‘এপ্রিলের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’
‘চলতি বছর সর্বোচ্চ উষ্ণতম হিসেবে রেকর্ড হতে পারে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আজ তাপমাত্রা বেড়েছে, যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে।’
‘তাপপ্রবাহ দূর হতে হলে বড় পরিসরে বৃষ্টি দরকার। আপাতত সে রকম কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’
‘আমরা দুর্যোগ মাপি কেবল মানুষের মৃত্যু দিয়ে। মানুষ মারা গেলে তার সঙ্গে দুর্যোগের সম্পর্ক দেখি। সেটা ঠিক না। মানুষ না মরলেও অনেক বড় দুর্যোগ হতে পারে।'
‘আমরা খুবই অমানবিক জীবনযাপন করি। মাঝেমধ্যে নিজেকে যন্ত্র ছাড়া কিছুই মনে হয় না।’
গতরাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবশ্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
‘তার মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়েছে নাকি অন্য কারণে, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’