চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ১১৪

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেঝে-বারান্দায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

তীব্র তাপপ্রবাহে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। 

এ তথ্য জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকালের তুলনায় আজ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।'

এ অবস্থায় হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে শিশুসহ ১১৪ জন।

জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় জেলায় আজ আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। গতরাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবশ্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে, দিনে তাপদাহ শুরু হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কিন্তু গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি। 

জেলা সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৫ শয্যার বিপরীতে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ৭৩ জন। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন শিশুসহ ১১৪ জন। 

প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ শতাধিক রোগী। রোগীর চাপ থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

এক বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আসমা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানে অনেক ভিড়। ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।' 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই তীব্র গরমে শিশুরা গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে। গরমে শিশুদের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফ্যানের বাতাসের নিচে রাখতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

7m ago