বুধ-বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা, ঠান্ডা বাড়বে

বুধবার-বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা, ঠান্ডা বাড়বে
ঠান্ডায় দুর্ভোগে ছিন্নমূল শিশুরা। ছবিটি গতকাল শুক্রবার খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ফুটপাত থেকে তোলা | ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের সব জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় ঠান্ডার তীব্রতা সেভাবে কমেনি।

আজ শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া, রাজশাহীতে নয় দশমিক আট, বদলগাছীতে ১০, দিনাজপুরে নয় দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিবেচনা করা হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির পরে রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।'

বুধবার-বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা, ঠান্ডা বাড়বে
ছবি: স্টার

এদিন তেঁতুলিয়া ও ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক দুই, সৈয়দপুরে ১০ দশমিক পাঁচ, রাজার হাটে ১১ দশমিক চার, ডিমলায় ১১ দশমিক পাঁচ, রংপুরে ১১ দশমিক আট, বগুড়া ও টাঙ্গাইলে ১২ দশমিক পাঁচ, নিকলীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তিনি আরও বলেন, 'গত সপ্তাহে দুই দিনের বৃষ্টিতে কুয়াশা কেটে গিয়েছিল। গতকাল ও গত পরশু দেশের প্রায় সব জেলায় সূর্যের দেখা মিলেছে এবং সর্বোচ্চ সময় সূর্য কিরণ ছিল।

'আজ মধ্যরাত থেকে আবার ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা ছিল। সড়ক পথেও কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। আগামী আরও দুই দিন এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে,' বলেন আবুল কালাম মল্লিক।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে কুয়াশা বেশি পড়তে পারে।'

ঠান্ডা এর চেয়ে আর বেশি বাড়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। শীতলতম মাস জানুয়ারি প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া দিন বড় হচ্ছে। ফলে সূর্য কিরণের সময় বাড়বে, তাই তাপমাত্রা সেভাবে কমবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

15h ago