খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমার কারণ—বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, আর্থিক কেলেঙ্কারি, স্বচ্ছতা ও সুশাসনের অভাব।
টাকা রাখার আগে ভালো ব্যাংক চেনা জরুরি; যেন প্রয়োজনের সময় সেই টাকা মুনাফাসমেত ফেরত পাওয়া যায়। অন্যথায়, ব্যাংক ডুবে গেলে খোয়া যেতে পারে আপনার সম্পদ।
‘দেশের টাকা-পয়সা নিয়ে অনেকেই বিদেশে চলে গেছে। এরকম ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।'
ফলে কিছু ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমানত বেড়েছে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ভালো ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে—সুশাসন ও গ্রাহক আস্থার ওপর ভিত্তি করে গত বছর তিন ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার মুনাফার মাইলফলক পার করেছে।
গত বছর ৫০টি ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড থেকে সম্মিলিতভাবে আয় করেছে ৩৯ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। আগের বছর তা ছিল ২৭ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
‘ঋণখেলাপিদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। অন্যথায় অন্যরাও ঋণ খেলাপি হতে উৎসাহিত হবেন।’
এর আগের বছর ব্যাংকটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি টাকা।
বিদেশি মুদ্রা সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার জন্য গত বছরের জানুয়ারিতে ১০ হাজার কোটি টাকার ইএফপিএফ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
তবে এ বছরের নয় মাসে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির মোট ২৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সিটি ব্যাংকের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২০০ কোটি ৭১ লাখ টাকা
ব্যাংকটির অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে বলা হয়েছে, কমিশন ও ফি-ভিত্তিক রাজস্ব প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগ থেকে আয় বৃদ্ধির কারণে মুনাফা বেড়েছে।
সম্প্রতি তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানতে পেরেছে, আগস্টে বোর্ড পুনর্গঠনের পরও ব্যাংক থেকে টাকা তোলা হয়েছে।
আয় কমে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগের শর্ত বাড়িয়ে দেওয়াকে দায়ী করছে ব্যাংকটি।
এছাড়া এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নফিজ সরাফাত বা তার কোনো প্রতিনিধি দুদকে হাজির হননি।
‘এখানে আমাদের কিছুই করার ছিল না। টাকা দেবো না—এমন বলার কোনো উপায় ছিল না।’