ব্যাংক খাত সংস্কারে অর্থায়ন করবে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক, আহসান এইচ মনসুর, এডিবি, বিশ্বব্যাংক, ব্যাংক খাত, খেলাপি ঋণ,

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নসহ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আধুনিকায়নে এডিবি এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার দিতে পারে।

তারা জানান, তিন বছর ধরে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রথম বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।

তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যাংক সংস্কারের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার দিতে পারে বিশ্বব্যাংক।

কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল ব্যাংকিং সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর তাদের কাছে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

এডিবি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেও বৈঠকে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এবং ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক কারিগরি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বিগত সরকারের আমলে অনিয়ম ও কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের বিতরণ করা ঋণের ১২ শতাংশেরও বেশি।

Comments