২০২৩

এইচএসবিসির রেকর্ড মুনাফা ৯৯৯ কোটি টাকা

এইচএসবিসি

হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ ২০২৩ সালে রেকর্ড প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করায় দেশের অন্যতম লাভজনক ব্যাংকে পরিণত হয়েছে।

ব্রিটিশ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির ঋণের সুদ এবং ট্রেজারি বিল ও বন্ড থেকে আয় বেড়ে যাওয়ায় মুনাফার এমন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে এর মুনাফা ছিল ৫৮৭ কোটি টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার এইচএসবিসির আর্থিক বিবরণীতে জানানো হয়, এর নিট সুদ আয় ছয় শতাংশ বেড়ে ৯২৯ কোটি টাকা হয়েছে।

ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ব্যাংকটির আয় প্রায় চারগুণ বেড়ে ৮০৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

তবে কমিশন থেকে এর আয় ২১ শতাংশ কমে ৬৩৬ কোটি টাকা হয়েছে।

গতকাল ইমেলে এইচএসবিসির পক্ষ থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলা হয়, 'আমরা এশিয়াজুড়ে ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছি। আমাদের কৌশল কাজ করছে।'

এতে আরও বলা হয়, 'আমাদের আন্তর্জাতিক সংযোগ এখানকার গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'

গত মাসে অপর বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের (এসসিবি) সর্বোচ্চ মুনাফা ঘোষণার পর এইচএসবিসিও রেকর্ড মুনাফার কথা জানালো।

এসসিবি জানিয়েছে—উচ্চ সুদ, ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ থেকে আয়ের কারণে গত বছর এর মুনাফা ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল দুই হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এর আগের বছর ছিল এক হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

দেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রায় ৮০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

১৯৯৬ সালে ঢাকায় ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা এইচএসবিসির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশি মুনাফা পেতে তারা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। তবে ঋণ দেওয়া কমিয়েছে।

২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ট্রেজারি বিল ও বন্ডে এইচএসবিসির বিনিয়োগ ছিল ৩৪ শতাংশ বেশি।

এর পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। আগের বছর তা ছিল আট হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

ঋণ তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে হয়েছে ২১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।

এই বিদেশি ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত ঋণ প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা।

শ্রেণিকৃত ঋণের মধ্যে ৪৯৯ কোটি টাকা খেলাপি, ১২৯ কোটি টাকা 'নিম্নমানের' ও বাকিগুলো 'সন্দেহজনক'।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে মুনাফা পাঠানো হয়েছিল ১১৩ কোটি টাকা। আগের বছর তা ছিল ২৭২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর অধীনে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় ব্যাংকিং ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

আইন অনুসারে, নিয়োগকর্তাকে তাদের নিট মুনাফার পাঁচ শতাংশ ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ডে দিতে হবে। তবে এটি ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এগুলো এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। তাই, তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতার সম্ভাবনা এখন কম। এর জন্য কোনো বিধান রাখা হয়নি।

তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ এইচএসবিসি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে যেকোনো দায় মেটাতে পর্যাপ্ত রিটেইনড আর্নিংস বজায় রাখবে। এর পরিমাণ ধরা হয় ৩০৫ কোটি টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

Economy poised to encounter substantial hurdles in H2 of FY25: BB

Despite various monetary and fiscal tightening measures, inflation has remained persistently high, staying above 10 percent

1h ago