শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে অভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনার অনুমোদন

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট অব্যাহত রাখতে অভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ, অভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠন, শ্রীলঙ্কা,
রয়টার্স ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট অব্যাহত রাখতে অভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট।

আজ শনিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে ১২২ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই পরিকল্পনা পাস হয়।

গত বছর শ্রীলঙ্কার ডলারের মজুত রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার পর দেশটি সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটের পড়ে। ফলে, দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, শ্রীলঙ্কা বিদেশি ঋণ খেলাপি হয়, দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর্যালোচনা পাস করতে শ্রীলঙ্কা গত বৃহস্পতিবার অভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠন কাঠামোর পরিকল্পনা করে। এর মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রটি ৪২ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ ঋণের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করতে চায়।

শ্রীলঙ্কার অর্থ প্রতিমন্ত্রী শেহান সেমাসিংহে পার্লামেন্টে বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে জিডিপির ১২৮ শতাংশ ঋণ ৯৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে আইএমএফের চুক্তি মতো নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে এই ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনা অপরিহার্য। আমরা ব্যাংক, আমানতকারী ও পেনশনধারীদের স্বার্থ রক্ষায় এটা করছি।

দেশটির বিরোধী দলগুলো এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও স্বচ্ছতা এবং পেনশনধারীদের জন্য আরও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা বলেন, 'এই পুনর্গঠন পেনশনভোগীদের অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করবে এবং এটি সরকারের অন্যায্য উদ্যোগ।'

দ্বীপ রাষ্ট্রটির অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কারণ গত মার্চে তারা আইএমএফ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট পেয়েছে। যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, ডলার মজুত, স্থানীয় মুদ্রার মানের উন্নতিতে সহায়তা করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago