লেবাননে অপরাধে জড়াচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

লেবানন
ছবি: সংগৃহীত

লেবাননে গত কয়েক বছর ধরে চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় আইন-কানুন কিছুটা শিথিল থাকার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলছে। মদ, জুয়া, অপহরণসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন কিছু বাংলাদেশি।

এ অবস্থায় অল্প কয়েকজনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দেশটিতে হুমকির মুখে পড়েছে।

লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রায় ৩১ জন বাংলাদেশি দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ভোগ করছেন।

সবশেষ গত ২৫ জুলাই এক নারী কর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে ৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। 

ছবি: সংগৃহীত

সোমবার রাতে স্থানীয় বাংলাদেশিদের সতর্ক করে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, কিছু বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ গণউপদ্রব সৃষ্টি এবং হাইছিলুম, আশরাফিয়ে, মুকাল্লেস, মনসুরিয়ে, নাভাসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসর, নাইট ক্লাবে গিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সতর্ক করে ভবিষ্যতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।

এ বিষয়ে দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রবাসে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এছাড়া এতে সাধারণ প্রবাসীদের কাজের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।'

'আমরা তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছি। তারপরও যদি তারা নিজেদের সংশোধন না করে, তাহলে দূতাবাস দেশ ও সাধারণ বাংলাদেশিদের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে,' যোগ করেন তিনি।

দূতাবাসের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী রাব্বুল শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যে সব জায়গায় জুয়া ও টিকটকের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে তাদের ধরে বিচারের আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।'

আরেক বাংলাদেশি মনির হোসেন বলেন, 'যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দূতাবাসের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।'

লেখক: লেবাননপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Destiny MD Rafiqul, 18 others jailed for 12 years

All the accused were asked all to deposit TK 4515.57 crore to the state within six months

2h ago