যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হিজবুল্লাহর ‘হ্যাঁ’, নেতানিয়াহুর ‘না’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও অভিযান থামাবে না তার দেশ। 

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করার পাশাপাশি দক্ষিণ লেবানন দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

সিএনএন জানায়, মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। একে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরায়েল সংলগ্ন দক্ষিণ লেবানন, বিশেষ করে লিতানি নদীর দক্ষিণে হিজবুল্লাহর কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবে। 

মার্কিন প্রস্তাবে ইসরায়েলি বাহিনীকেও দক্ষিণ লেবানন থেকে সরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।  

এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বৈরুতে পৌঁছেছেন মার্কিন দূত আমোস হোচস্টাইন। 

যুদ্ধবিরতি হলেও অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু জানান, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। 

নেতানিয়াহু বলেন, 'কাগজে কী (প্রস্তাব) থাকবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কাগজে (যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব) সই করা হলেও আমাদের (ইসরায়েল) উত্তরে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেটা মানার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।' 

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচের কণ্ঠেও একই সুর। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন দক্ষিণ লেবাননে 'আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা' আছে ইসরায়েলি বাহিনীর। 

তিনি বলেন, 'এই যুদ্ধের শেষে গাজায় অবস্থান নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে আমাদের। লেবাননে অবস্থান নেওয়ারও পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাবে আমরা সম্মতি দিচ্ছি না।' 
 

Comments

The Daily Star  | English

Donald Trump to be sworn in as US president for second term

The event was moved indoors because of cold weather

1h ago