নাটোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ৪

সংঘর্ষের সময় গুলি ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। গুলির খোসা পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
নাটোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আহত হয়েছেন চার জন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ, রাহুল খান হীরা, রোকনুজ্জামন এবং আফজাল আহত হন।

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি পালন করতে গেলে সংসদ সদস্য শিমুলের সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মীরা সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে পার্টি অফিসে ঢুকতে বাধা দেয় এবং হামলা করে।

এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে গেলে পার্টি অফিসে তাদেরকে ঢুকতে বাধা দেয় সোহানুর রহমান সাকিব, দস্তগীর সজীব, গোলাম রাব্বানী এবং ছোট বাপ্পিসহ বেশ কয়েকজন। তারা ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে জাহাঙ্গীর নামে একজন লেদ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন শাহিন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহানুর রহমান সাকিব বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগ দলীয় অফিসে কেক কাটি, পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচি পালন করি। এরপর তারা নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বের হওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

তিনি দাবি করেন, এরপর তারাও সংঘবদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। ওই সময় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালায়। ফরহাদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয় লেদ শ্রমিক জাহাঙ্গীর।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান বলেন, সকালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। ছাত্রলীগের একপক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের ভিতরে অন্যপক্ষ বাইরে অবস্থান করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এসময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন তিন জন। সংঘর্ষের সময় গুলি ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। গুলির খোসা পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন তথ্য পুলিশের কাছে নেই। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

9h ago