প্রথমবারের মতো ক্যাবল টিভির চেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্ট্রিমিং

জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সেবা। প্রতীকি ছবি: রয়টার্স
জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সেবা। প্রতীকি ছবি: রয়টার্স

প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকরা ক্যাবল টিভির চেয়ে নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন প্রাইমের মতো স্ট্রিমিং সেবাগুলো বেশি দেখছেন।

গবেষণা সংস্থা নিয়েলসেনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন গত শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।

জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট টিভি দেখার সময়ের ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশই ছিল স্ট্রিমিং কনটেন্ট। গত বছরের তুলনায় এই হার ২৩ শতাংশ বেশি। ক্যাবল ও ব্রডকাস্টের (বিনামূল্যে সম্প্রচারিত টিভি চ্যানেল) দর্শক কমেছে। ২০২১ এর জুলাইর তুলনায় উভয় সেবায় ১০ শতাংশ করে দর্শক কমেছে। ক্যাবল ও ব্রডকাস্টের দর্শক শতাংশ যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২১ দশমিক ৬ শতাংশ।

নিয়েলসেন আরও জানিয়েছে, এর আগেও স্ট্রিমিং সেবার দর্শক ব্রডকাস্টকে ছাড়িয়ে গেছিল, তবে এবারই প্রথমবারের মত এটি ক্যাবল টিভিকেও ছাড়িয়েছে।

দর্শকপ্রিয়তার দিক দিয়ে নেটফ্লিক্স, হুলু ও ইউটিউব নতুন রেকর্ড গড়েছে। দর্শকরা সবচেয়ে বেশি দেখেছেন নেটফ্লিক্স। এই স্ট্রিমিং সেবার সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছে 'স্ট্রেঞ্জার থিংস' এর নতুন সিজন।

দর্শকরা সবচেয়ে বেশি দেখেছেন নেটফ্লিক্স। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দর্শকরা সবচেয়ে বেশি দেখেছেন নেটফ্লিক্স। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকদের মতে, নিয়েলসেনের দেওয়া তথ্যে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এখানে শুধু মার্কিন নয়, সারা বিশ্বের টিভি দর্শকদের বর্তমান পছন্দ-অপছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে। বিনোদন প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত স্ট্রিমিং সেবাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে।

তবে কিছু বিশ্লেষক আশংকা প্রকাশ করেছেন, স্ট্রিমিং সেবার সোনালী দিনগুলোও শেষ হওয়ার পথে। যেকোনো মূল্যে গ্রাহক সংগ্রহের প্রবণতা থেকে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সরে আসছে।

ডিজনি তাদের স্ট্রিমিং সেবা থেকে মোটা অংকের লোকসান করার পর তাদের সেবার মূল্য বাড়িয়েছে। নেটফ্লিক্সও সম্প্রতি সেবার দাম বাড়িয়েছে এবং একই অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স, ডিসকভারি ও সিএনএনের মত সেবাদাতারাও স্ট্রিমিং সেবার কৌশল পাল্টাচ্ছে। এই ৩ প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন সমর্থিত কন্টেন্টের দিকে ঝুঁকছে।

স্ট্রিমিং সেবার জনপ্রিয়তা খুব শিগগির কমার সম্ভাবনা নেই। প্রতিবেদন মতে, এটাই হলিউডের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তবে বিনা প্রশ্নে বড় অংকের বিনিয়োগের কৌশল থেকে সরে আসছে সেবাদাতারা।

মফেটনাথানসনের গণমাধ্যম বিশ্লেষক মাইকেল নাথানসন বলেন, 'গ্রাহক প্রবৃদ্ধি স্থবীর হওয়াতে স্ট্রিমিং সেবাদাতাদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এমন এক যুদ্ধক্ষেত্রে লড়ছে, যেখানে আর সম্পদ নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

11h ago