বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিনের ৭টি রাশিয়ার

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ছবি কোলাজ: আনোয়ার সোহেল/স্টার

প্রাচীন যুগে কাঠের তৈরি নৌকা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল আজকের যুগে সেটা বিশালাকার পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিনে এসে পৌঁছেছে। বিরাট আকার আর অসাধারণ দক্ষতায় এসব সাবমেরিন বিস্ময় জাগিয়ে চলেছে মানুষের মাঝে। যুদ্ধ, সুরক্ষা, অনুসন্ধান, উদ্ধারকাজ থেকে শুরু করে পর্যটনের মতো কাজে ব্যবহৃত হয় সাবমেরিন। তাই বিশ্বব্যাপী এক ধরনের প্রতিযোগিতাও রয়েছে সাবমেরিন তৈরিতে।

সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র। আগের দিনের সাবমেরিনগুলো বেশ ধীরগতির ছিল, তবে সময়ের সঙ্গে এসব সাবমেরিনগুলোতে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সন্নিবেশ, পেয়েছে দুর্দান্ত গতি।

আজকে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সাবমেরিন নিয়ে আলোচনা করবো, যার ৭টি রাশিয়ান নৌবাহিনীর অংশ। এ ছাড়া শীর্ষ দশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ৩টি সাবমেরিন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
টাইফুন ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

টাইফুন ক্লাস, রাশিয়া

স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে ১৯৬০-৭০ দশকে বিশাল আকৃতির টাইফুন ক্লাস সাবমেরিনটি তৈরির পরিকল্পনা করে রাশিয়া। যা ১৯৮১ সাল নাগাদ বাস্তবে রূপ নেয়। স্নায়ুযুদ্ধে রাশিয়ার সমর সক্ষমতার প্রমাণই এই টাইফুন ক্লাস।

৩টি ফুটবল মাঠের সমান এই সাবমেরিনটি লম্বায় প্রায় ৫৬৬ ফুট। ৪৮ হাজার টনের এই সাবমেরিনটি এখনো বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন। যার প্রস্থ ৭৬ মিটার ও উচ্চতা ৩৮ মিটার।

পানিতে ভাসমান অবস্থায় এর গতি প্রায় ঘণ্টায় ৪১ কিলোমিটার আর নিমজ্জিত অবস্থায় এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মতো।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
বোরেই ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

বোরেই ক্লাস, রাশিয়া

দ্বিতীয় বৃহত্তম ও চতুর্থ জেনারেশনের অত্যাধুনিক এই সাবমেরিন শক্তিশালী রাশিয়ান নৌবাহিনীর অংশ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া সাবমেরিনটি নির্মাণ করেন। পুরনো মডেলের ডেল্টা ৩, ৪ ও টাইফুনের পরিবর্তে রাশিয়ান নৌবাহিনীতে এটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২৪ হাজার টনের বোরেই ক্লাস সাবমেরিনটির দৈর্ঘ্য ১৭০ মিটার, প্রস্থ ১৩ মিটার এবং ১০৭ জন ক্রু ধারণে সক্ষম। পানিতে ভাসমান অবস্থায় ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার ও পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ওহাইও ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ওহাইও ক্লাস, যুক্তরাষ্ট্র

১৮ হাজার ৭৫০ টনের ওহাইও সাবমেরিনটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম। তবে তৃতীয় স্থানে থাকলেও রাশিয়ার বৃহৎ টাইফুন এবং বোরেই ক্লাস সাবমেরিন থেকে ওহাইও সাবমেরিনের মিসাইল বহনের সক্ষমতা বেশি। সাবমেরিনটি ১২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ২৪টি ট্রাইডেন্ট ২ মিসাইল সজ্জিত।

এই সাবমেরিনগুলো অনুমোদন পায় ১৯৮১ সালের দিকে। এই শ্রেণির প্রথম সাবমেরিন, ইউএসএস ওহাইও তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রটন শহরের  ইলেকট্রিক বোট ডিভিশন অব জেনারেল ডাইনামিকস করপোরেশন। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ২৪টি সাবমেরিন তৈরির লক্ষ্য থাকলেও তৈরি করতে পেরেছে ১৮টি। যার সবগুলো সাবমেরিনই এখনো সচল রয়েছে।

ওহাইও সাবমেরিন দৈর্ঘ্যে ৫৬০ ফিট, প্রস্থে ১৩ মিটার ও উচ্চতায় প্রায় ১০ মিটার। এ ছাড়া ৮টি সাবমেরিনে ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো টিউব, এমকে ১১৮ ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমসহ যুক্তরাষ্ট্রের থার্মো নিউক্লিয়ার অস্ত্রের প্রায় ৫০ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাবমেরিনটিতে থাকা টর্পেডোগুলো ৩ হাজার ফুট গভীরতা ও ৫০ কিলোমিটার পাল্লার।

এসব সাবমেরিনের জীবনকাল ৪০ বছর এবং এগুলোর মেয়াদ শেষ হলে কলম্বিয়া ক্লাস তৈরি করা হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ডেলটা ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ডেলটা ক্লাস, রাশিয়া

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এই সাবমেরিনটি মূলত ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন ক্লাস হিসেবে সুপরিচিত। বহু সংখ্যক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ১৮ হাজার ২০০ টনের বিশাল এই সাবমেরিন রাশিয়ার উত্তরে সেভেরোদভিন্স শহরে নির্মাণ করা হয়েছে। ডেল্টা ক্লাসে মোট ৪টি সাবমেরিন রয়েছে যার মধ্যে ডেল্টা-২ ক্লাসের সাবমেরিনটির সফলতার হার বেশি।

১৯৭৬ সালে ডেল্টা ক্লাসের প্রথম সাবমেরিনটি অনুমোদন পায়। এই ক্লাসের তৃতীয় এবং চতুর্থ সাবমেরিন বর্তমানে রাশিয়ার নৌবাহিনীতে কার্যকর রয়েছে। এই সাবমেরিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭ মিটার, প্রস্থ প্রায় সাড়ে ১২ মিটার, উচ্চতা প্রায় ৮ দশমিক ৮ মিটার। পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় এটি ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
অস্কার ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

অস্কার ক্লাস, রাশিয়া

১৯৭০-এর দশকে অস্কার ক্লাস সাবমেরিন বানানোর পরিকল্পনা করে রাশিয়ায়। যা পরবর্তীতে ১৯৮০-র দশকে বাস্তবায়ন করা হয়। ১৯ হাজার ৪০০ টনের অস্কার ক্লাস সাবমেরিনটি একটি নিউক্লিয়ার ক্রুজ মিসাইল সাবমেরিন যেটি বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সাবমেরিন। এই সাবমেরিনটির দৈর্ঘ ১৫৫ মিটার এবং প্রস্থে প্রায় ১৮ মিটার। সোভিয়েত নৌবাহিনীর কাজেই এই সাবমেরিন বানানো হয়েছিলো যা বর্তমানে রাশিয়ান নৌবাহিনীর বিভিন্ন অপারেশনের সঙ্গে নিয়োজিত। এটি পানিতে ভাসমান অবস্থায় ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার অতিক্রম করলেও পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার। 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ভ্যানগুয়ার্ড ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যানগুয়ার্ড ক্লাস, যুক্তরাজ্য

অনেক হলো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা। এখন একটু ব্রিটিশদের সাবমেরিনের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখি। ১৫ হাজার ৯০০ টন ডুবো স্থানচ্যুতি সম্পন্ন ভ্যানগুয়ার্ড সাবমেরিনটি আপাতত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সাবমেরিন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৩ সাল থেকেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি সম্বলিত এই সাবমেরিনটি যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর সেবায় নিয়োজিত। এই গোত্রের ৪টি সাবমেরিনের নাম হলো- ভ্যানগার্ড, ভিক্টোরিয়াস, ভিজিল্যান্ট এবং ভেনজেন্স। সাবমেরিনগুলো তৈরি করেছিলো নামকরা ব্রিটিশ ভাইকার্স শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। এই ক্লাসের প্রথম সাবমেরিন এইচএমএস ভ্যানগুয়ার্ড অনুমোদিত হয়েছিলো ১৯৯৩ সালে। এটি দৈর্ঘ্যে ১৪৯ দশমকি ৯ মিটার, প্রস্থে প্রায় ১২ দশমিক ৮ মিটার ও উচ্চতায় প্রায় ১২ মিটার। পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় ঘণ্টায় প্রায় ৪৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ইয়াসেন ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ইয়াসেন ক্লাস, রাশিয়া

সপ্তম অবস্থানে আছে রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০ টনের ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন। এটি নির্মাণ পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে শুরু হলেও কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ সালে। এই ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ১৩৯ দশমিক ২ মিটার, প্রস্থে প্রায় ১৩ মিটার। পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় এই সাবমেরিনটি ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। রাশিয়ার বিখ্যাত জাহাজ নির্মাতা সেভমেশ এই সাবমেরিনটি নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলে। 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
ট্রিওমফ্যান্ট ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

ট্রিওমফ্যান্ট ক্লাস, ফ্রান্স

১৪ হাজার ৩৩৫ টনের ট্রিওমফ্যান্ট ক্লাস সাবমেরিনটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সাবমেরিন। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সংবলিত সাবমেরিনটি ফ্রান্সের নৌবাহিনীতে নিয়োজিত। এই ক্লাসের ৪টি সাবমেরিন রয়েছে যেগুলোর নাম হলো ট্রিওমফ্যান্ট, তেমেরাইর, ভিজিলিয়েন্ট ও টেরিবল। প্রথম সাবমেরিনটি অনুমোদন পেয়েছিলো ১৯৯৭ সালে। ট্রিওমফ্যান্ট ক্লাসের প্রতিটি সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ১৩৮ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ৬০ মিটার। পানিতে ভাসমান অবস্থায় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
সিয়েরা ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

সিয়েরা ক্লাস, রাশিয়া

১০ হাজার ৫০০ টনের সিয়েরা ক্লাস সাবমেরিনকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম সাবমেরিন হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। রাশিয়ান নৌবাহিনীতে সিয়েরার ৪টি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। সিয়েরা ক্লাসের সাবমেরিনগুলো তৈরি হয়েছে হালকা এবং ভারী টাইটানিয়ামের চাপে। যার ফলে এই সাবমেরিন পানির বেশ গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এবং বিকিরণের শব্দের মাত্রাও অনেক কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া এই সাবমেরিন টর্পেডো (সমুদ্রতলে জাহাজ ধ্বংস করার বিস্ফোরক) হামলার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি দৈর্ঘ্যে ১১২ মিটার এবং প্রস্থে ১৪ দশমিক ২ মিটার। পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় সিয়েরা ক্লাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ সাবমেরিন : সাবমেরিনের প্রচলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যা বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের এক অন্যতম অস্ত্র।
আকুলা ক্লাস। ছবি: সংগৃহীত

আকুলা ক্লাস, রাশিয়া

এবার আসি তালিকার সবশেষ সাবমেরিনের কথায়। ১৩ হাজার ৭০০ টনের আকুলা ক্লাস সাবমেরিনটিতে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা হয়। এই আকুলা ক্লাস সাবমেরিনটি রাশিয়া ও সোভিয়েত নৌবাহিনীর পাশাপাশি ২০১২ সাল থেকে একটি সাবমেরিন ভারতের নৌবাহিনীকে লিজ দেওয়া হয়। আকুলা গোত্রের সর্বপ্রথম সাবমেরিনটি ১৯৮৪ সালে সোভিয়েত নৌবাহিনীতে অনুমোদিত হয়। এই সাবমেরিনের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার। এই সাবমেরিনের মধ্যে রয়েছে সিক্রেট চেম্বার যা কি না ৯০ জন ক্রুকে আশ্রয় দিতে পারে। এর দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার, প্রস্থ ১৩ দশমিক ৬ মিটার এবং উচ্চতা ৯ দশমিক ৭ মিটার। পানিতে ভাসমান অবস্থায় এই শ্রেণির সাবমেরিনের গতি ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার এবং পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ৬৪ দশমকি ৮২ কিলোমিটার।

তথ্যসূত্র: সিসকভারিইউকে, মেরিনইনসাইট, রয়্যালনেভি

Comments

The Daily Star  | English

Matarbari project director sold numerous project supplies

Planning Adviser Prof Wahiduddin Mahmud today said the Matarbari project director had sold numerous project supplies before fleeing following the ouster of the Awami League government on August 5.

1y ago