রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে এল মাজদা এমএক্স-থার্টি

রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে এল মাজদা এমএক্স-থার্টি

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে হাজির হয়েছে মাজদা এমএক্স-থার্টি। এ বছরের শুরুতে ব্রাসেলস কার শোতে গাড়িটি উন্মোচন করা হয়। আরএক্স এইট-এর মতো স্পোর্টস কার না হলেও রেঞ্জ এক্সটেন্ডার হিসেবে পেট্রল মিল পাওয়া যাবে নতুন এমএক্স থার্টি ইভি এসইউভি-তে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন ২০২৩ মাজদা এমএক্স-থার্টি সম্পর্কে। 

মূলত মাজদার সিএক্স-থার্টি মডেলের ওপর ভিত্তি করে ইলেকট্রিক মিডসাইজ এসইউভির আদলে তৈরি করা হয়েছে এমএক্স থার্টি। এর আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে টোকিও মোটর শোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিভাগে গাড়িটির প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন ১০০ মাইল (প্রায় ১৬০ কিলোমিটারের কাছাকাছি) রেঞ্জের ব্যাটারিসহ মাজদা এমএক্স-থার্টি দ্বিগুণ রেঞ্জ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য বেশিরভাগ প্রতিযোগীর থেকে পিছিয়েছিল।
 
প্রথম দিকে গাড়ি তৈরি শুরুর আগে মাজদা কর্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল, সে হিসেবে এমএক্স-থার্টি আকর্ষণীয় গাড়িটির অভ্যন্তরীণ অংশে কর্কসহ অন্যান্য টেকসই উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়ির ভেতরের ক্লাস্টারটি তাদের বিদ্যমান কিছু মডেলের গাড়ি থেকে অনুকরণ করা হয়েছে, যা গাড়ির বৈদ্যুতিক পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। এমএক্স-থার্টির ইন্টেরিয়রের আরেকটি অনন্য ফিচার হলো সেন্ট্রাল কনসোলের নিচে অবস্থিত একটি ফুল-সাইজের ১৫০ ডব্লিউ পাওয়ার আউটলেট। যেখানে ল্যাপটপ এবং আরও প্রয়োজনীয় গ্যাজেট চার্জ করা যাবে। 

রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে এল মাজদা এমএক্স-থার্টি

শুধু ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়িটির সহজলভ্যতা এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য পরিবেশসম্মত কি না এবং টেকসই কার্বন ফুটপ্রিন্ট যাচাইয়ের জন্য সিএআরবি ও অন্যান্য ফেডারেলের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে। তাই এ বছর অবধি মাজদার ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) বিক্রির পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি উৎপাদন এবং স্টক থাকা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এসইউভির দুর্বল রেঞ্জ মোকাবলা এবং ৮৩০ সিসির রোটারি ইঞ্জিন সংযুক্ত করার জন্য ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি মাজদা এমএক্স-থার্টি আর-ইভি স্কাইঅ্যাকটিভ নামে গাড়ির একটি হাইব্রিড সংস্করণ বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে চাকা এবং ইঞ্জিনের উপস্থিতি নির্দেশক ৩-পয়েন্টেড ওয়াঙ্কেল লোগো সম্বলিত স্বতন্ত্র ব্যাজিং ছাড়া তেমন পার্থক্য নেই।

রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে এল মাজদা এমএক্স-থার্টি

চাকার সঙ্গে সংযোগ না থাকলেও গাড়ির সামনে থাকা রোটারি ইঞ্জিনটি ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ৮ কিলোওয়াট শক্তির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, যা সম্পূর্ণ ইভি সংস্করণের প্রায় অর্ধেক ক্ষমতা একাই ধারণ করে।  

সেই সঙ্গে ব্যাটারি চার্জ করার জন্য প্লাগ-ইন সক্ষমতা সম্বলিত আর-ইভিতে ইঞ্জিনের জন্য একটি ৫০-লিটার পেট্রোল ট্যাঙ্ক রয়েছে। যা একটি এসি আউটলেট থেকে চার্জ হতে সময় নেয় প্রায় ৫০ মিনিট এবং একটি ডিসি আউটলেট থেকে ৩৬ ওয়াট পর্যন্ত চার্জ করা যায় যেখানে এটি ৮০ শতাংশে পৌঁছাতে প্রায় ২৫ মিনিট সময় নেয়।

রোটারি ইঞ্জিন নিয়ে এল মাজদা এমএক্স-থার্টি

এমএক্স-থার্টি আর-ইভিতে একটি বৈদ্যুতিক মোটরও রয়েছে। এমএক্স-থার্টি ইভি-এর ১৪৫ পিএস (১৪৩ এইচপি বা ১০৭ কেডব্লিউ) এবং ২৭১ এনএম-এর তুলনায় ১৭০ পিএস (১৬৮ এইচপি বা ১২৫ কেডব্লিউ) এবং ২৬০ এনএম কম টর্ক অধিক শক্তিশালী।

এমএক্স-থার্টি মাজদার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসইউভিগুলোর মধ্যে একটি। বৈদ্যুতিক যানবাহন বিভাগে এটি তাদের প্রথম গাড়ি নয় বরং মাজদা দীর্ঘকাল ধরে রোটারির আড়ালে থাকা প্রযুক্তির পুনরাবর্তন আনার চেষ্টা করেছে। তবে চাকার সঙ্গে ইঞ্জিনের সংযোগ থাকলে বোধহয় আরও ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যেত। তবে আশা করা যায়, আর-ইভির পর মাজদা আরএক্স সিরিজের স্পোর্টস কারেরও নতুন করে প্রত্যাবর্তন ঘটবে। 

অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া 
 

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

2h ago