বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য দেশে প্রথম চার্জিং স্টেশন স্থাপন
বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি চার্জ করতে দেশে প্রথমবারের মতো চার্জিং স্টেশন স্থাপন করেছে 'এখন চার্জ'।
রাজধানীর তেজগাঁও বাণিজ্যিক (নাবিস্কো) এলাকায় 'অডি বাংলাদেশের' কার্যালয় প্রাঙ্গণে আজ বুধবার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে।
চার্জিং স্টেশন উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
বর্তমানে দেশে ৩৪টির মতো ইভি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করেছে। তবে এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে বলে মনে করেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
চার্জিং স্টেশন উদ্বোধনের সময় সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, 'বিদেশে কয়েক কিলোমিটার পরপরই ফিলিং স্টেশনের পাশাপাশি ইভি চার্জিং স্টেশনের দেখা মেলে। ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলচালিত কোনো পরিবহন থাকবে না। সরকার এই পরিকল্পনাতেই এগুচ্ছে। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এই চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের চার্জিং স্টেশন নীতিমালা করা হয়েছে অনেক আগে। প্রথম স্টেশন স্থাপনে সে তুলনায় একটু বেশি সময় লেগেছে। তবে এটি শুরু, খুব দ্রুত সবাই মিলে আমরা ইলেকট্রিক যানবাহনে যাওয়ার চেষ্টা করব।'
'ভবিষ্যতে এ ধরনের চার্জিং পয়েন্ট সারা দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠবে,' যোগ করেন তিনি।
অডি গাড়ির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান 'প্রগ্রেস মটরস ইমপোর্ট লিমিটেডের' পরিচালক (অর্থ) মো. হাসিব উদ্দিন জানান, তারা ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে ১১টি চার্জিং স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি বলেন, 'এই স্টেশনে ২০-৩০ মিনিটে গাড়ির চার্জ ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ হবে যাবে। ১০০ শতাংশ চার্জে একটি গাড়ি চলবে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ এ ধরনের ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য আদর্শ জায়গা। কারণ, এখানে ৫০০ কিলোমিটারের রাস্তা খুব কমই আছে। একবার চার্জ দিয়েই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।'
ইভি চার্জিংয়ে 'এখন চার্জ' অ্যাপ চালু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই অ্যাপের মাধ্যমে চার্জের টাকা পরিশোধ, এমনকি যাত্রাপথে গাড়ি চার্জের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করা যাবে।
বর্তমানে চার্জিং স্টেশনের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করলেও আগামী বছর থেকে এগুলো দেশেই অ্যাসেম্বল করার কারখানা স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা বলেন, 'বিশ্বের বড় বড় গাড়ি নির্মাতারা ঘোষণা দিয়েছেন ২০৩০ সালের পর তারা আর জ্বালানি তেলচালিত গাড়ি নির্মাণ করবেন না।'
'বর্তমানে আমাদের দেশে যে ৫৭ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে, সেগুলোর কী হবে, তা নিয়ে আমাদের এখনই কাজ করতে হবে। এগুলো কীভাবে ফেজ আউট করা হবে, বা ডিসপোজ করা হবে কিংবা রূপান্তর করা হবে, সেগুলোর নীতিমালা করা লাগবে,' বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান। অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির সঙ্গে প্রগ্রেস মটরসের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
Comments