ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়চে ভেলে

বাইরে একটু চক্কর কাটার ভাবনা এলে যে কারও মনে শুরুতেই আসে চিরচেনা ২ চাকার সাইকেলের কথা। যদিও প্রযুক্তির হাত ধরে আমাদের আছে নানা বিকল্প। 

তবে যতটা ভাবা হয়, ই-বাইক আর ই-স্কুটার কিন্তু অতটা পরিবেশবান্ধব নয়। এগুলো তৈরি করতে পারে আরও কিছু জটিলতা।

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

ইলেক্ট্রো-ক্লাসিক

সাধারণ সাইকেলের বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক সাইকেল বা ই-বাইকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মোটর থাকায় এটি পেয়েছে দ্রুত গতি। ঢাল বেয়ে ওঠাও হয়েছে সহজ। বয়সের কারণে বাস-ট্রামে যারা উঠতে চায় না, তাদের কাছে ই-বাইক ভালো বিকল্প। কিন্তু সমস্যাও আছে। সাইক্লিংয়ের আসল মজাটা যেমন এতে নেই, তেমনি ক্যালরি খরচও হচ্ছে না। আবার বাড়ছে দুর্ঘটনা।

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

সংকটের নাম ব্যাটারি

ই-বাইকের বিপক্ষ নিলে, ব্যাটারির প্রসঙ্গটা এড়ানো যায় না। ব্যাটারি তৈরিতে প্রচুর প্রাকৃতিক শক্তির অপচয় হয়। রিচার্জেবল লিথিয়াম ব্যাটারি এই যানের চালিকাশক্তি। মাটি খুঁড়ে লিথিয়াম তুলে আনাও কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। আবার এই ব্যাটারি তৈরিতে প্রয়োজন লিথিয়ামের বিশাল খনির। ২০১৮ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে লিথিয়ামের মজুত মাত্র ৫৩.৮ মিলিয়ন টন।

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

বাড়ছে জ্বালানি চাহিদা

বিদ্যুতায়িত যানে কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে না। কিন্তু ব্যাটারিগুলো নিয়ম করে চার্জ করতে হয়। ই-বাইক বলে নয়, ই-স্কুটার, ই-স্টেক বোর্ড, মনোহুইল কিংবা হোভারবোর্ডস, সব ক্ষেত্রে কথাটি প্রযোজ্য। বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে, বিদ্যুতের চাহিদা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে সেই চাদিহার পুরোটাই যোগান দেওয়া সম্ভব না। 

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

নতুন ভাবনায় বাড়ছে ব্যাটারির চাহিদা

প্রযুক্তি নির্মাতারা ক্ষণে ক্ষণে আনছে চোখ ধাঁধানো গ্যাজেট। আর এগুলো সচল রাখতে, ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার কিন্তু কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ ই-বাইকগুলোতে ব্যাটারির বদলে প্যাডেলের ব্যবস্থা আছে কিন্তু ব্যাক টু দ্য ফিউচার টু-এর আদলে আসা হোভারবোর্ডে সেই সুযোগ নেই।

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

স্বল্প দূরত্বের স্কুটার

শৈশবে দেখা স্কুটারের সঙ্গে ই-স্কুটারের কোনো অমিল নেই। তবে এটি চালাতে পায়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। বরং ব্যাটারিই তার চালিকা শক্তি। আর পোড়া ইঞ্জিনের চেয়ে এই প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব মাথায় রাখা ভালো, এটি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজটি হয় না। অনেকেই স্বল্প দূরত্বের যান হিসেবে, যেমন ঘর থেকে বাস বা ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করে ই-স্কুটার।

ইলেকট্রিকযান কতটা পরিবেশবান্ধব
ছবি: ডয়েচে ভেলে

নিয়মভাঙার পালা

জার্মানিতে এখনো ই-স্কুটার নিয়ে পথে নামার অনুমতি নেই। ছোট্ট হলেও এতে একটি ইঞ্জিন আছে। আর তাই গাড়ির মতো এটির জন্যেও লাইসেন্স থাকা চাই। এ বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে জার্মানি। তবে শর্ত থাকছে, সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার এবং চলতে হবে বাইসাইকেলের নির্ধারিত পথে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দিনের জন্য ই-স্কুটার নিয়ে রাস্তায় নামার অনুমতি ছিল।

   

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago