ব্যয়ের বেশিরভাগই ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে।
‘আমরা আমাদের গ্যাস সরবরাহের ৩০ শতাংশ আমদানি করি। এফএসআরইউ না থাকায় আমাদের গ্যাসের ১০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া আমাদের স্থানীয় গ্যাস উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।’
'ভাসমান টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণ চলছে, ৩০ মার্চের আগে সেটি ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই'
গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল কারখানার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘কারখানাগুলো ভয়াবহ সংকটে আছে।’
‘সমস্যার সমাধান না করে আবার মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করাটা আমাদের কাছে বোঝার উপর শাকের আঁটি হয়ে এসেছে’
কালকের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে শিল্প কারখানাগুলো গ্যাস পাবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে গৃহস্থালি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।
'আজ সারাদিনে এ সংকট কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই।'
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে গৃহস্থালি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।
'আজ সারাদিনে এ সংকট কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই।'
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
‘এই দুর্ভোগ শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই।’
কেন এই তীব্র সংকট?
তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভুগছেন।
নগরবাসী জানান, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—এই চার মাস তারা একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
‘কারখানাগুলোর সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। কারখানাগুলো যদি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তারা লোকসানে পড়বে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।’
‘এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার থেকে তা কমিয়ে ৬০০ মিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলাতেও গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে।’
তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না বাড়ালে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।