আজ বৃহস্পতিবার সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দলের বিরুদ্ধে ‘গায়ের জোরে, আধিপত্যবাদী কায়দায় পার্টি চালানোর’ অভিযোগ তার।
'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তার নিজস্ব এলাকায় ধনীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করতে পারলেও দরিদ্র সুইপার কলোনির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিশেষ গোষ্ঠী ও চাঁদাবাজদের পকেট ভরার...
‘নির্বাচন আজ নির্বাসনে চলে গেছে। লুটেরা দুর্বৃত্তরা আজ ক্ষমতাশ্রয়ী রাজনীতির চালকের আসনে বসে আছে।’
সোমবার সকাল ১০টায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
‘দেশ আজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে দুর্নীতিবাজ লুটেরা গোষ্ঠী আর তাদের দল। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও তাদের দল।’
নেতারা বলেন, ‘আমরা জনগণের দাবি নিয়ে বিদ্যুতের দাম কমানোর যৌক্তিক দাবিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমাদের মিছিলে বাধা দিয়ে প্রকারান্তরে জনগণের দাবির প্রতি অবহেলা করা হলো।’
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা দেশটাকে আজ এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, তরুণ প্রজন্ম দেশকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে না।’
এ ছাড়া, তার সদস্যপদ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
‘যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি দেশবাসীকে জিম্মি করে ফেলেছে।’
নেতারা বলেন, আমরা ভোট চাই, কিন্তু ভোটের নামে তামাশা ও লুটপাটের ভাগাভাগি চাই না।
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গণতন্ত্রহীন ও একতরফা নীতিহীন ভাগাভাগির নির্বাচনী পরিবেশে এবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি।'
তিনি বলেন, দেশে আজ সংঘাত সংঘর্ষ চলছে। চলছে একতরফা নির্বাচন আয়োজন। যা চলমান দুঃশাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে।
দেশে দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদের আরেক ভিত্তি তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ-বিদেশে খেটে খাওয়া ও গ্রাম-শহরের মানুষের শ্রমে দেশের অগ্রগতি হলেও লক্ষ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। শাসকদের প্রশ্রয় ছাড়া এটা সম্ভব না।’
তিনি `নির্বাচনকে ঘিরে বিদেশি শক্তির অপতৎপরতায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার ও শাসক গোষ্ঠীর নতজানু নীতির কারণে এই শক্তি অপতৎপরতা চালাতে পারছে।’
সিপিবির পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী হামলার সঠিক তদন্ত এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
‘সিন্ডিকেট তথা অসাধু চক্র ও লুটেরাবান্ধব সরকারি নীতি অর্থাৎ লুটেরাদের তোষণ করার কারণে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে।’
সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সংগ্রাম অগ্রসর করার আহ্বান জানানো হয়।