পরিবেশবান্ধব ছাড়া উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে: রুহিন হোসেন প্রিন্স
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, পরিবেশ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নয়, প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে পুরো উন্নয়ন পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে হবে।
তিনি বলেন, 'পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ছাড়া তীব্র তাপদাহে মানুষ যেমন অতিষ্ঠ হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নানাভাবে এ ধরনের অতিষ্ঠতা বাড়বে। এর ফলে এই উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়বে। মানুষের কষ্ট বাড়াবে।'
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খুলনা মহানগরীর গোলকমনি শিশুপার্কে সিপিবির খুলনা মহানগর সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'দেশ আজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে দুর্নীতিবাজ লুটেরা গোষ্ঠী আর তাদের দল। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও তাদের দল। এসব লুটেরারা তাদের পকেট ভারী করে লুটপাটের অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। নিজেদের পকেট ভারী করেছে। বিদেশে অর্থ-সম্পদ পাচার করেছে। তাই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও তাদের অসুবিধা হয় না। আর সাধারণ মানুষ কম খেয়ে, শিক্ষা-চিকিৎসা বঞ্চিত থেকে কোনোভাবে জীবন কাটাচ্ছে। হতাশায় জীবন পার করছে।'
এ অবস্থা পরিবর্তনে সাধারণ মানুষকে নিজেদের শক্তিতেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা সিপিবি কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য কাজী সোহরাব হোসেন।
সমাবেশে সিপিবির খুলনা জেলার সভাপতি ডা. মনোজ দাস, সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ, খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিত্যানন্দ ঢালী ও শ্রমিকনেতা এইচ এম শাহদৎ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫২ বছর পার হলেও আজ সব মানুষের মানসম্মত খাদ্য, কাজ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা নেই। অথচ একদল মানুষের এসব সুবিধা অপরিসীম।'
তিনি সাধারণ মানুষের এসব সুবিধা নিশ্চিত করতে এসব অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
এ ছাড়া, খুলনার শিল্পাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পাটকলসহ শিল্প কারখানা চালু এবং বেসরকারি খাতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করারও দাবি জানান।
সমাবেশের আগে খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে সিপিবির নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি খুলনা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
Comments